ভবনা ডেস্কঃ
হযরত আদম আ. এলেন এ ধরায়, শুরু হলো মনুষ্যত্বের ধরা। আস্তে আস্তে বিস্তার হতে শুরু করল বনী আদমের সন্তানেরা এ ধরার বুকে।
বনী আদমের সন্তানেরা যেন না ভুলে তার রব কে। তাই যুগে যুগে আল্লাহ নবী-রসুল প্রেরণ করে তাদের সঠিক পথের পথিক হতে দিকনির্দেশনা করেছেন।
এভাবে হযরত ঈসা আ. এর আসমানে প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে এ পৃথিবী আস্তে আস্তে হয়ে উঠল অন্ধকারাচ্ছন্ন এক পৃথিবী। এ ধরা ঘোর অন্ধকারে নিমজ্জিত। মানুষের মনুষ্যত্ব বলতে কিছুই ছিল না। মানব সভ্যতার চরম বিপর্যয় সৃষ্টি হলো।
ধরার জন্য রহমত হয়ে প্রেরিত হলেন রহমাতু ল্লিল আলামীন হযরত মুহম্মদ স.। আল্লাহ্ নাযিল করলেন মহাগ্রন্থ আল-কুরআন। 'ইকুরা' পড় তোমার প্রভুর নামে, যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন। আলো বিকশিত হলো মরুর বুকে। তার কিরণ ছড়িয়ে পড়ল পূর্ব থেকে পশ্চিম। শান্তি প্রতিষ্ঠিত হল এ ধরার বুকে। দারুল আরকামের সুফফায় ইলমের চর্চা শুরু হলো। কিন্তু বেশিদিন ছিলেন না তিনি। তারও পরোপারে পাড়ি জমাতে হলো। কিন্তু এই ইসলামের প্রচার-প্রসারের দায়িত্ব উলামে কেরামের উপর দিয়ে গেলেন। এ দায়িত্ব রক্ষায় শতাব্দীর পর শতাব্দী, যুগের পর যুগ, ইলমের ঝান্ডা নিয়ে অগ্রসর হয়ে চলেছে ইলমে নববীর ধারক বাহকগণ। ভারতবর্ষ যখন ব্রিটিশ দখল করল। এ দখলদার থেকে মুক্তি ও ইসলামকে টিকিয়ে রাখতে ১৮৬৬ সনে ভারতে 'দারুল উলুম দেওবন্দ' প্রতিষ্ঠিত হয়। সে মারকাযের শাখা ছড়িয়ে আছে পৃথিবীর প্রান্তে প্রান্তে। সেই দারুল উলুমের স্বপ্ন বুকে নিয়ে ২০১৯ সনে দারুল উলূম দেওবন্দের সুযোগ্য সন্তান আল্লামা নাসির উদ্দিন কাসেমী দা.বা. এর নির্দেশে 'দারুল উলূম খাজুরা প্রতিষ্ঠিত হয়।
আমাদের_বিভাগসমূহ -হিফজ বিভাগ,নাজেরা বিভাগ,কিতাব বিভাগ,কেরাত বিভাগ,নূরানী বিভাগ।ছাত্র সংখ্যা : ২০০+।উস্তায : ১১,স্টাফ : ২,প্রতিষ্ঠাকাল ২০১৮
মাদরাসার নিজস্ব ভূমিতে মাদরাসা নির্মাণ জুন ২০১৯,মোহতাজে দোয়া।
মুফতী আনিসুর রহমান
মুহতামিম
দারুল উলূম খাজুরা।
0 coment rios: