সর্বশেষ

শনিবার, ১০ মে, ২০২৫

ভারতের বিরুদ্ধে যেসব সমরাস্ত্র ব্যবহার করেছে পাকিস্তান

ভারতের বিরুদ্ধে যেসব সমরাস্ত্র ব্যবহার করেছে পাকিস্তান

 




ভবনা ডেস্কঃ কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর বন্দুক হামলাকে কেন্দ্র করে নতুন করে উত্তেজনার আগুন জ্বলেছে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে। হামলার পর ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানে চালায় ‘অপারেশন সিঁদুর’।

জবাবে পাকিস্তানও পাল্টা সামরিক প্রতিক্রিয়া জানায়। এই প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান যেসব সমরাস্ত্র ব্যবহার করেছে, সেগুলোর বেশিরভাগই এসেছে চীনের কাছ থেকে।

শুক্রবার (৯ মে) ভারতের সংবাদমাধ্যম ফার্স্টপোস্ট প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে পাকিস্তানের ব্যবহৃত এসব অস্ত্রের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। চীনের তৈরি এইচকিউ-৯ হলো একটি দূরপাল্লার ভূমি-থেকে-আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা (এসএএম), যা রাশিয়ার এস-৩০০ প্রযুক্তির অনুকরণে তৈরি। এতে ব্যবহৃত হয়েছে উন্নত রাডার ট্র্যাকিং ও গাইডেন্স প্রযুক্তি। পাকিস্তানে এই সিস্টেম মোতায়েন রয়েছে এবং লাহোরের একটি ইউনিট ধ্বংস করার দাবি করেছে ভারত। তবে পাকিস্তান এ দাবি অস্বীকার করেছে। 

ভারতের বিমানবাহিনীর বিরুদ্ধে পাকিস্তান ব্যবহার করেছে জে-১০সি ফাইটার জেট, যা চীনের চেংদু এয়ারক্রাফট ইন্ডাস্ট্রি গ্রুপ নির্মিত। এক ইঞ্জিনবিশিষ্ট এই যুদ্ধবিমানটি বহু ভূমিকা পালনে সক্ষম।

এটি একসঙ্গে ছয়টি ৫০০ কেজি ওজনের লেজার-গাইডেড বোমা, সাধারণ বোমা, কিংবা ৯০ মিমি রকেট বহন করতে পারে। এছাড়া এতে রয়েছে একটি ২৩ মিমি ব্যারেলযুক্ত কামান। পাকিস্তান চীনের বাইরে একমাত্র দেশ যারা এই জেট ব্যবহার করছে। 

জে-১০সি ফাইটার জেট থেকে উৎক্ষেপণের জন্য পাকিস্তান ব্যবহার করেছে চীনে তৈরি পিএল-১৫ ক্ষেপণাস্ত্র। এটি একটি দূরপাল্লার, দৃষ্টিসীমার বাইরে আঘাত হানতে সক্ষম আকাশ-থেকে-আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র।

এতে রয়েছে ডুয়াল-পালসড সলিড প্রপেলান্ট রকেট এবং অ্যাকটিভ ইলেকট্রনিক্যালি স্ক্যানড অ্যারে রাডার। এর পাল্লা ২০০-৩০০ কিলোমিটার এবং এটি শব্দের চেয়ে প্রায় পাঁচগুণ গতিতে চলতে পারে। 

চীনের তৈরি এসএইচ-১৫ হলো একটি মোবাইল হাউইটজার গান, যা ট্রাকের ওপর বসানো থাকে। এই অস্ত্র ব্যবস্থাটি ‘শুট অ্যান্ড স্কুট’ কৌশলে দ্রুত স্থান পরিবর্তন করে গোলাবর্ষণ করতে পারে।

এটি সাধারণ গোলাবারুদে ২০ কিমি এবং রকেট সহযোগে ৫৩ কিমি দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। এর গুলির হার প্রতি মিনিটে ৪-৬ রাউন্ড। এতে রয়েছে বিল্ট-ইন জিপিএস ও ইনর্শিয়াল ন্যাভিগেশন সিস্টেম।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পাকিস্তানের ড্রোন ভাণ্ডারের বড় একটি অংশই চীনের উপর নির্ভরশীল।

উইং লুং ২ : এটি একটি মাঝারি উচ্চতা ও দীর্ঘ সময় উড়তে সক্ষম আক্রমণাত্মক ড্রোন। দৈর্ঘ্য ১১ মিটার, পাখার বিস্তার ২০.৫ মিটার।

সিএইচ-৪ : চীনের অ্যারোস্পেস সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি করপোরেশনের তৈরি এই ড্রোনটি দেখতে অনেকটাই যুক্তরাষ্ট্রের এমকিউ-৯ রিপার ড্রোনের মতো। এটি মাঝারি উচ্চতা ও দীর্ঘ সময় উড়তে সক্ষম ইউএভি।

পাকিস্তানের সামরিক প্রস্তুতিতে চীনের প্রযুক্তিগত অবদান ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে। ভারতের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক প্রতিক্রিয়ায় ব্যবহৃত অস্ত্রগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সবই চীনে তৈরি। এই যুদ্ধসজ্জা শুধু ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা নয়, দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক ভারসাম্যেও নতুন মাত্রা যোগ করছে।

শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫

ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে ড্রোন নতুন অধ্যায়

ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে ড্রোন নতুন অধ্যায়

 





ভবনা ডেস্কঃ কাশ্মীর ইস্যুতে সংঘাতে জড়িয়েছে ভারত-পাকিস্তান। এর ফলে উপমহাদেশজুড়েই চরম উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। দক্ষিণ এশিয়ায় পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে যে সংঘাত চলছে, সেটা আদৌ যুদ্ধ কিনা, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তবে অনেকে এটাকে বিশ্বের প্রথম ‘ড্রোনযুদ্ধ’ বলেও মন্তব্য করছেন।

পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বলছে, বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিবেশী ভারতের ২৫টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। এসব ড্রোন দেশটির আকাশপ্রতিরক্ষা ভেদ করে লাহোর, করাচিসহ প্রধান নগরীতে প্রবেশ করে। হামলায় অন্তত একজন সাধারণ নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন।  এর ঘণ্টাখানেক পর ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আজ পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থায় আঘাত করা হয়েছে। এতে লাহোর শহরের বিমানবাহিনীর রাডার অকেজো হয়ে যায়। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভারত ও ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে পাকিস্তান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আক্রমণের চেষ্টা করে। তবে আমাদের দেশের সেনারা সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে ড্রোনগুলো ভূপাতিত করে। এদিকে আজও ৪৮টি হারপ ড্রোন ভূপাতিত করার বলে দাবি করেছে পাকিস্তান। তবে ভারতের পক্ষে থেকে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনায় এবারই প্রথম ড্রোন ব্যবহার হচ্ছে। এটি ব্যবহারের মাধ্যমে পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সংঘাতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ড্রোন হামলা ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্পষ্টতই ভারত-পাকিস্তান সংঘাত একটি নতুন ড্রোন যুগে প্রবেশ করছে, যেখানে ‘অদৃশ্য চোখ’ ও মনুষ্যবিহীন ড্রোনযুদ্ধের গতিপথ নির্ধারণ করছে। সুতরাং, দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আকাশে দক্ষরাই ড্রোনযুদ্ধের নিয়ন্ত্রণ হাতে পাবে।

এর আগের দিন (বুধবার) পাকিস্তান ও পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা করে ভারত। ইসলামবাদ জানিয়েছে, এই হামলায় দেশটির অন্তত ৩১ জনের প্রাণহানি হয়েছে।

গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার পর ‘অপারেশন সিঁদুর’ নাম দিয়ে পাকিস্তানের পাঞ্জাব ও আজাদ কাশ্মীরের বিভিন্ন স্থাপনায় এই হামলা চালায় ভারত। এর আগে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চারবার যুদ্ধ হয়েছে। তবে এবারের যুদ্ধের তীব্রতা অনেক বেশি। কারণ, ভারী অস্ত্র ব্যবহারের ফলে নিয়ন্ত্রণরেখার এলাকার লোকজন সেখান থেকে সরে গেছে। ভারত পাকিস্তান যুদ্ধের শুরু

ভারত ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট স্বাধীনতা লাভ করে। এর পরদিন ১৫ আগস্ট ব্রিটিশদের কাছ থেকে পাকিস্তান স্বাধীন হয়েছিল। এক মাস পর ২১ অক্টোবর কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। শেষ হয় ১৯৪৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর। এরপর আরও তিনটি যুদ্ধ হয়েছে। 

ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে ২২ এপ্রিল বন্দুকধারীদের হামলায় ২৫ জন পর্যটক প্রাণ হারান। এর মাধ্যমে পঞ্চমবারের মতো যুদ্ধ শুরু হয়। ভারতের দাবি, পাকিস্তান সমর্থিত জঙ্গিরা এই হামলা চালিয়েছে। তবে পাকিস্তান এই হামলায় জড়িত থাকার কথা সবসময় অস্বীকার করছে। ড্রোন ব্যবহারের মাধ্যমে সংঘাতের  তীব্রতা বেড়ে যায়। ড্রোন হামলা নিয়ে যা বলছে পাকিস্তান

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমাদ শরীফ চৌধুরী গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছেন, ‘সারা রাত দেশে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। আকাশপ্রতিরক্ষা ভেদ করে লাহোর, করাচিসহ প্রধান প্রধান নগরীতে ড্রোন প্রবেশ করে। এসব ড্রোনের মাধ্যমে দেশের জনবহুল বড় বড় নগরীকে লক্ষ্য করা হয়।’ তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ড্রোনগুলো ভূপাতিত করে। দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইসরায়েলের তৈরি ২৫টি হারপ ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে।’

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র আরও বলেন, ‘ড্রোন হামলায় দক্ষিণ সিন্ধু প্রদেশে একজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন এবং আহত হন আরও একজন। এছাড়াও লাহোরের একটি সামরিক স্থাপনায় ড্রোন হামলা করা হয়, সেখানে চার সৈন্য আহত হন। সেখানকার সামরিক স্থাপনায় সামান্য ক্ষতি হয়।’

তিনি এই হামলাকে ‘নগ্ন আগ্রাসন’ এবং ‘গুরুতর উস্কানি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। আহমাদ শরীফ প্রতিশ্রুতি দেন, এসব হামলায় প্রতিশোধ নিতে প্রস্তুত পাকিস্তান।

আহমাদ শরীফ বলেন, ‘মনে হচ্ছে, ভারত হেরে গেছে। যুক্তিসঙ্গত পথে না গিয়ে উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশে তৈরি করছে। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী যেকোনো ধরণের হুমকির মোকাবিলায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।

ড্রোন হামলা নিয়ে ভারত কি বলছে 
 
পাকিস্তানের সংবাদ সম্মেলনের এক ঘণ্টা পর দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানায় ভারত। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তান ৭ ও ৮ মে রাতে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ভারতের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের অনেকগুলো সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করতে চায়। এসব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের সব কটিই ইন্টিগ্রেটেড কাউন্টার ইউএএস গ্রিড এবং এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম (আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা) নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভারতের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে সামরিক বাহিনীর অনেকগুলো স্থাপনা লক্ষ্য করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল পাকিস্তান। সেগুলোর ধ্বংসাবশেষ এখন সংগ্রহ করা হচ্ছে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি স্থানে বিমানপ্রতিরক্ষা রাডার এবং সিস্টেমগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। ভারতের প্রতিক্রিয়া পাকিস্তানের মতো ছিল। মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, লাহোরে একটি বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা নিষ্ক্রিয় হয়েছে।

তবে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ভারতে হামলার চেষ্টা করার ভারতের দাবির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি পাকিস্তান।  বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন

মার্কিন নৌবাহিনীর যুদ্ধ কলেজের অধ্যাপক জাহারা মাতিসেক বিবিসিকে বলেছেন, পরস্পরের বিরুদ্ধে ড্রোন হামলা কয়েক দশক ধরে চলা প্রতিদ্বন্দ্বিতা ভারত-পাকিস্তানের জন্য একটি নতুন বিপজ্জনক অধ্যায় চিহ্নিত করেছে। কারণ, অস্থিতিশীল সীমান্তে উভয় পক্ষই মানবহীন অস্ত্র একে অপরের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে। 

ভারত ইসরায়েলে তৈরি হারপ ও হেরন ড্রোন ব্যবহার করছে। আর পাকিস্তান নিজস্ব ড্রোনের পাশাপাশি চীন ও তুরস্কের ড্রোন আকাশে ওড়াচ্ছে। মূলত লেজার নির্দেশিত ক্ষেপণাস্ত্র; বোমা, ড্রোন ও মনুষ্যবিহীন বিমানবাহী যান আধুনিক যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।

অধ্যাপক ম্যাটিসেক বলেন, শত্রুর বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দমনেও ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনকি অ্যান্টি রেডিয়েশন মিসাইলের লক্ষ্যবস্তুও ড্রোন দিয়ে নির্ধারণ করা যেতে পারে। ইউক্রেন ও রাশিয়া উভয়ই তাদের যুদ্ধে এটি করে থাকে।

ভারত সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৪ বিলিয়ন ডলারের ৩১টি এককিউ-নাইনবি প্রিডেটর ড্রোন কেনার চুক্তি করেছে, যেগুলো ৪০ ঘণ্টা আকাশে উড়তে পারে। লাহোরভিত্তিক প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক এজাজ হায়দার বিবিসিকে বলেন, পাকিস্তানের ড্রোন বহর ‘বিস্তৃত ও বৈচিত্র্যময়’। এ তালিকায় দেশে তৈরি ও আমদানি করা এক হাজারের বেশি ড্রোন রয়েছে। চীন ও তুরস্ক থেকে ড্রোন আমদানি করে থাকে পাকিস্তান।

কোন কোন স্থান থেকে ড্রোন ভূপাতিত করে পাকিস্তান

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমাদ শরীফ চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ড্রোনগুলো গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। তবে ভারত জনবহুল শহরগুলোতে হামলা চালায়। 

লাহোর: পূর্ব পাঞ্জাব অঞ্চলের রাজধানী লাহোর। এর জনসংখ্যা ১ কোটি ৪০ লাখ। জনসংখ্যায় এটি পাকিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ রিজওয়ান সাংবাদিকদের জানান, ওয়ালটন বিমানবন্দরের কাছে একটি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। ওয়ালটন বিমানবন্দরটি পাকিস্তানি সেনাবাহিনী পরিচালনা করে এবং রাডারের জন্য ব্যবহার করে। বিমানবন্দরটিতে প্রশিক্ষণ স্কুলও রয়েছে।

গুরজানওয়ালা: এটি পাঞ্জাবের চতুর্থ বড় শহর। এর জনসংখ্যা ২৫ লাখ। 

চাকওয়াল: এটিও পাঞ্জাবের একটি শহর। এর লোকসংখ্যা প্রায় ১৬ লাখ। 

রাওয়ালপিন্ডি:  পাঞ্জাবের একটি শহর রাওয়ালপিন্ডি। এখানে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে। এই শহরের লোকসংখ্যা ৬০ লাখের কাছাকাছি। 

অ্যাটক: রাজধানী ইসলামাবাদের কাছে অ্যাটক শহরের অবস্থান। এখানে একটি সেনানিবাস রয়েছে, যার জনসংখ্যা ২১ লাখ।

নানকানা সাহিব: এটি পাঞ্জাবের একটি শহর। এর জনসংখ্যা মাত্র ১ লাখ। ‍কিন্তু লোকসংখ্যার তুলনায় এর তাৎপর্য অনেক বেশি। কারণ, নানাকানা সাহিব শিখ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা গুরু নানকের জন্মস্থান। শিখদের কাছে এই শহরের গুরুত্ব অনেক বেশি। 

বাহাওয়ালপুর: পাঞ্জাবের একটি শহর। এর জনসংখ্যা প্রায় ১০ লাখ। মিয়ানো: সিন্ধু প্রদেশের একটি শহর মিয়ানো। পাকিস্তানের প্রধান তেলক্ষেত্র এখানে অবস্থিত। 

চর: দক্ষিণ-পূর্ব সিন্ধু প্রদেশের উমেরকোট জেলার একটি ছোট শহর।

ঘোটকি: উত্তর সিন্ধুর একটি শহর ঘোটকি, যা খেজুর গাছের জন্য পরিচিত। এর জনসংখ্যা প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার। 

করাচি: পাকিস্তানের একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর করাচি। এর জনসংখ্যা দুই কোটি। এখানে দেশের বড় সমুদ্রবন্দর রয়েছে। ভারতের কোন কোন শহরে হামলা করে পাকিস্তান 

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পাকিস্তানি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দেশটির ১৫টি শহরে হামলার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সেগুলো ভূপাতিত করা হয়েছে।

অবন্তিপুরা: ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের ঝিলাম নদীর তীরে অবস্থিত অবন্তিপুরা শহর। এর জনসংখ্যা ১২ হাজার। 

শ্রীনগর: ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর উপত্যকার বৃহত্তম শহর শ্রীনগর। এর জনসংখ্যা ১২ লাখ।

জম্মু: ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের শীতকালীন রাজধানী জম্মু। এর জনসংখ্যা ৫ লাখ। 

পাঠানকোট: ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পাঠানকোট ভারতীয় সেনাবাহিনীর অভিযানের একটি প্রধান কেন্দ্র। এখানে এশিয়ার বৃহত্তম সামরিক ঘাঁটি অবস্থিত।

অমৃতসর: ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের এই শহর অমৃতসর। এর জনসংখ্যা ১১ লাখ। এখানে স্বর্ণমন্দির অবস্থিত, যা শিখ ধর্মের অন্যতম পবিত্র তীর্থস্থান।

কাপুরথালা: ভারতীয় পাঞ্জাবের ১ লাখ জনসংখ্যার একটি ছোট শহর। জলন্ধর: এই শহরের  জনসংখ্যা প্রায় ৯ লাখ।

লুধিয়ানা: ভারতীয় পাঞ্জাবের সবচেয়ে জনবহুল শহর লুধিয়ানা। এখানে ১৬ লাখ লোক বাস করেন।

আদমপুর: পাঞ্জাবের একটি ছোট শহর। এখানে মাত্র ২০ হাজার লোকের বাসস্থান। কিন্তু এখানেই ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবাহিনী ঘাঁটি অবস্থিত।

ভাটিন্ডা: ভারতীয় পাঞ্জাবের একটি শহর ভাটিন্ডা। এর জনসংখ্যা প্রায় ৩ লাখ। 

চণ্ডীগড়: ভারতীয় পাঞ্জাব রাজ্যের একটি শহর চণ্ডীগড়। প্রতিবেশী রাজ্য হরিয়ানার রাজধানী এই চণ্ডীগড়। এর জনসংখ্যা ১০ লাখেরও বেশি।

নাল: রাজস্থানের মরুভূমি রাজ্যের ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের কাছে একটি ছোট্ট শহর নাল। এখানে একটি বেসামরিক বিমানবন্দর এবং একটি বিমানবাহিনীর ঘাঁটি রয়েছে।

ফালোদি: রাজস্থানের একটি শহর ফালোদি। এর জনসংখ্যা ৬৬ হাজার। ফালোদি লবণ শিল্পের জন্য বিখ্যাত।

উত্তরলাই: রাজস্থানের একটি ছোট গ্রাম উত্তরলাই। যেখানে বিমানবাহিনী একটি স্টেশন অবস্থিত। 

ভুজ: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটের একটি শহর ভুজ। এর জনসংখ্যা ১ লাখ ৯০ হাজার। 

পাকিস্তানে হামলায় কোন ড্রোন ব্যবহার করেছিল ভারত

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমাদ শরীফ চৌধুরী বলেন, ইসরায়েলের তৈরি হারপ ড্রোন দিয়ে হামলা করে ভারত। 

টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদন অনুসারে, ইসরায়েল অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ (আইএআই) হারপ ড্রোন তৈরি করে থাকে। ড্রোনগুলো ঘুরে ঘুরে লক্ষ্য খুঁজে বের করে এবং অপারেটরের নির্দেশ পেলে লক্ষ্যবস্তুর ওপর সরাসরি আঘাত হানে। আঘাত হানার সময় ড্রোনগুলো নিজেকেও ধ্বংস করে দেয়। এগুলো আত্মঘাতী ড্রোন বা কামিকাজে ড্রোন নামেও পরিচিত।

আইএআইয়ের তৈরি হারপ ড্রোনকে সবচেয়ে মারাত্মক বলে বিবেচনা করা হয়। কারণ, এটি সাধারণ ইউএভি এবং ক্ষেপণাস্ত্র ক্ষমতাকে একত্রিত করে। দুই মিটার বা ৬ দশমিক ৬ ফুট দৈর্ঘ্যের এই ড্রোন বিমান শনাক্তকরণ ব্যবস্থাকে এড়িয়ে যেতে পারে। এটি ২০০ কিলোমিটার (১২০ মাইল) পর্যন্ত উড়তে পারে। প্রায় ছয় ঘণ্টা উড়তে পারে এই ড্রোন। লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে ব্যর্থ হলে উৎক্ষেপণ ঘাঁটিতে ফিরে আসতে পারে হারপ।

জেরুজালেম পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় বিমানবাহিনী হারপ ড্রোনের অন্যতম বড় গ্রাহক। ২০০৯ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত সময়ে ভারত ২৫টি হারপ ড্রোন কিনে। এগুলোর প্রতি ১০ ইউনিটের মূল্য ১০০ মিলিয়ন ডলার।

হারপ ড্রোন আগে ২০১৬ ও ২০২০ সালে নাগোর্নো-কারাবাখ সংঘাতে ব্যবহৃত হয়। আজারবাইজান এই ড্রোন ব্যাপকভাবে ব্যবহার করে। সেনা বহনকারী একটি বাস লক্ষ্য করে হামলা চালায় এই ড্রোন, এতে অন্তত ছয় সেনা নিহত হয় ও বাসটি ধ্বংস হয়ে যায়।

টিআরটি গ্লোবালের তথ্যমতে, গত এক দশকে ভারত ইসরায়েল থেকে ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সরঞ্জাম কিনেছে। যার মধ্যে রয়েছে রাডার, নজরদারি ড্রোন ও যুদ্ধের ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র। পাকিস্তানে ড্রোন হামলা কেন তাৎপর্যপূর্ণ?

ভারতের একাধিক ড্রোন পাকিস্তানের সবচেয়ে জনবহুল অঞ্চলে উড়ে বেড়াচ্ছে। একটি সামরিক অবস্থানে আক্রমণ করতে সক্ষম হয়েছে। এতে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা লঙ্ঘন করার এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে আঘাত করার ক্ষমতা ভারতের রয়েছে।

পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মতে, এই হামলা ‘চরম উস্কানিমূলক কাজ’, যা দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে সহিংসতার তীব্রতা বৃদ্ধি করতে পারে। দেশের অভ্যন্তরে ড্রোন ঢুকে পড়ার ফলে পাকিস্তানের বেসামরিক বিমান চলাচলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি দেখা দিয়েছে। 

ডোন হামলার ফলে ইসলামাবাদ, করাচি, লাহোর ও শিয়ালকোট বিমানবন্দরের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ করে পাকিস্তান।

ড্রোন হামলার কেমন প্রভাব পড়বে

কাম্মীরকে পৃথিবীর ভূস্বর্গ বলা হয়। মনোরম হৃদ, তৃণভূমি, তুষারবৃত পাহাড়ের জন্য বিখ্যাত কাশ্মীর। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এই ভূমি এখন ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দুতে। লাইন অফ কন্ট্রোল (এলওসি) জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ভাগ করেছে। ভারত জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের ১ লাখ ১ হাজার ৩৮৭ বর্গ কিলোমিটার নিয়ন্ত্রণ লাভ করে। পাকিস্তান আজাদ কাশ্মীরের ১৩ হাজার ৩৯৭ বর্গ কিলোমিটার ও গিলগিত-বালতিস্তানের ৭২ হাজার ৪৯৫ কিলোমিটার অঞ্চলের ওপর নিয়ন্ত্রণ লাভ করে।

ভারত পাকিস্তান ছাড়াও কাশ্মীরের শাসন করে চীনও। তবে ভারত কাশ্মীরের পুরোটা দাবি করে। পাকিস্তানও কাশ্মীরের মালিকানা চায়। ভারত-পাকিস্তানের চারটি যুদ্ধের মধ্যে তিনটি হয়েছে কাশ্মীর নিয়ে, যা ২২ হাজার ২০০ বর্গকিলোমিটারজুড়ে (৮ হাজার ৫৭০ বর্গমাইল) বিস্তৃত।

বছরের পর বছর ধরে পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন, অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য দোষারোপ করে আসছে ভারত। তবে পাকিস্তান জোর দিয়ে বলেছে, তারা কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনকে কেবল নৈতিক এবং কূটনৈতিক সমর্থন দেয়।

নয়াদিল্লি এপ্রিলের হামলার জন্য দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টকে (টিআরএফ) দায়ী করে। ভারতের দাবি, টিআরএফ পাকিস্তান সমর্থিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। তবে এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে ইসলামাবাদ। এতে জড়িত থাকারা কথা অস্বীকার করে ‘স্বচ্ছ, বিশ্বাসযোগ্য, নিরপেক্ষ’ তদন্তের আহ্বান জানানো হয়েছে।

পারমাণবিক শক্তিধর দেশ দুটির জনসংখ্যা ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন। এরই মধ্যে ড্রোন হামলা নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মধ্যে আশঙ্কা জাগিয়ে তুলেছে। তারা বলছেন, এই উত্তেজনা বিপর্যয়কর ডেকে আনতে পারে।

তথ্যসূত্র: আল জাজিরা, বিবিসি, রয়টার্স, ডন, সিএনএন

পাকিস্তানের গোলা হামলায় অন্তত ৫০ ভারতীয় সেনা নিহত

পাকিস্তানের গোলা হামলায় অন্তত ৫০ ভারতীয় সেনা নিহত

 





ভবনা ডেস্কঃ ভারতের হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ভারতের সামরিক স্থাপনাগুলোতে গোলাবর্ষণ করেছে পাকিস্তান। এ সময় ৪০ থেকে ৫০ জন ভারতীয় সেনাকে নিহত হয়েছে বলে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট এই খবর জানিয়েছে। বুধবার ভোররাতে ভারতের বিমান হামলার জবাবে এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পাকিস্তান। 

পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার জানিয়েছেন, নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ভারতের বেশ কয়েকটি সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে তারা হামলা চালিয়েছে এবং এতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছে।

 

ভারতীয় পুলিশের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, ভারতের পুঞ্চ জেলায় পাকিস্তানের গোলাবর্ষণে কমপক্ষে ১৬ জন বেসামরিক নাগরিক ও একজন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন। সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা নিরাপত্তার খোঁজে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।

 

এর আগে ফরাসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভারতের মালিকানাধীন অন্তত একটি রাফাল যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে পাকিস্তানি সেনারা।

 

ঘটনাস্থলে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীরা ইনডিপেনডেন্টকে জানিয়েছেন, একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার সময় বিশাল বিস্ফোরণ ঘটে এবং রাতের আকাশ আলোকিত হয়ে ওঠে। যদিও ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা স্বীকার করেনি।

 

ভারত এখনো পাকিস্তানের দাবি করা ৪০-৫০ জন সেনা নিহতের বিষয়ে কোনো জবাব দেয়নি। ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, সীমান্তে গোলাবর্ষণে এখন পর্যন্ত দেশটির একজন সেনা ও ১২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।

এখন পর্যন্ত ৭৭টি ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান

এখন পর্যন্ত ৭৭টি ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান

 





ভবনা ডেস্কঃ পাকিস্তান এখন পর্যন্ত ৭৭টি ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করেছে। পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম পিটিভি জানিয়েছে, পাকিস্তান এখন পর্যন্ত মোট ৭৭টি ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করেছে। -পিটিভি নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে পিটিভি জানিয়েছে, “৮ মে সন্ধ্যা নাগাদ পাকিস্তান ২৯টি ভারতীয় ড্রোন গুলি করে এবং গত রাত থেকে আরও ৪৮টি ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে।” এতে আরও বলা হয়েছে যে, পাকিস্তান ভারতীয় আগ্রাসনের “যথাযথ জবাব” দিচ্ছে। গতকাল পাকিস্তান সামরিক বাহিনী জানিয়েছিল এসব ড্রোনকে প্রতিহত করতে— টেকনিক্যাল (সফট-কিল) এবং অস্ত্রভিত্তিক (হার্ড-কিল) উভয় ধরনের প্রতিরক্ষা কৌশল ব্যবহার করা হয়েছে। ওই সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী জানান, ভারতের পাঠানো ইসরায়েলি তৈরি হারপ ড্রোনগুলো করাচি ও লাহোরসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় প্রবেশ করে। ইসরায়েলের তৈরি হারপ ড্রোন ব্যবহার ভারতের হতাশা ও আতঙ্কের বহিঃপ্রকাশ। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোনো তাৎক্ষণিক মন্তব্য করেনি। এর আগের দিন বুধবার ভোরে ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে হামলা চালানো হয়। নয়াদিল্লির দাবি, সন্ত্রাসী অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে তারা। দুই সপ্তাহ আগে কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে এক হামলায় ২৬ জন নিহত হন। ভারতের দাবি, এ ঘটনায় পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। ইসলামাবাদ এই অভিযোগ অস্বীকার করে এবং পাল্টা প্রতিক্রিয়ার হুমকি দেয়। একইসঙ্গে তারা দাবি করে, ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে তারা।

বুধবার, ৭ মে, ২০২৫

পাকিস্থান ভারত কে কোন অস্ত্র  ব্যবহার করল

পাকিস্থান ভারত কে কোন অস্ত্র ব্যবহার করল

 





ভবনা ডেস্কঃ কাশ্মীরের পেহেলগাম ইস্যুতে উত্তেজনার মধ্যে একে অপরের ভূখণ্ডে হামলা চালিয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। বিবিসি জানিয়েছে, পাল্টাপাল্টি হামলায় দুই দেশে অন্তত ৪১ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক। উত্তেজনা এখনো থেমে নেই। যেকোনো সময় আরও বড় পরিসরে হামলার শঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। চিরবৈরি দু’দেশের সংঘাতে এখন পর্যন্ত কী কী সমরাস্ত্রের ব্যবহার হলো, তা নিয়ে কৌতূহল অনেকের। এই প্রতিবেদনে সেই উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অপারেশন সিঁদুরে উচ্চ ও দীর্ঘ পাল্লার হামলা চালাতে সক্ষম এমন বিভিন্ন অস্ত্র ব্যবহার করেছে দিল্লি। এই অস্ত্রগুলোর মধ্যে স্কাল্প ক্রুজ মিসাইল, হেমার বোমা ও লোটারিং মিউনিশন (আত্মঘাতী ড্রোন) উল্লেখযোগ্য। 

স্কাল্প ক্রুজ মিসাইল: এটি একটি দূরপাল্লার মিসাইল, যা আকাশ থেকে নিক্ষেপ করা হয়। এটি ২৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত অতিক্রম করতে পারে। প্রতিপক্ষের কৌশলগত লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে আঘাত হানার জন্য এটি ডিজাইন করা হয়েছে। মিসাইলটি মূলত বাঙ্কার, সামরিক ঘাঁটি ও সুরক্ষিত অবকাঠামো ধ্বংস করতে ব্যবহৃত হয়।

হেমার বোমা: এটি একটি স্মার্ট বোমা। নির্ভুলভাবে লক্ষ্যে আঘাত হানার জন্য এটি ডিজাইন করা হয়েছে। বিশেষ করে শক্তিশালী অবকাঠামো- যেমন কংক্রিটের বাঙ্কার ও বহুতল ভবন ধ্বংসে এই বোমা ব্যবহার করা হয়। এটি ৫০-৭০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। 

লোটারিং মিউনিশন: এটি এক ধরনের ড্রোন। শত্রুপক্ষের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নজরদারি, লক্ষ্যবস্তু শনাক্তকরণ এবং চূড়ান্ত আঘাত হানার কাজে ব্যবহৃত হয়। এই ড্রোনগুলো নির্দিষ্ট এলাকায় বাতাসে ঘোরাফেরা করতে পারে এবং লক্ষ্যবস্তুকে শনাক্তের পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে অথবা দূরনিয়ন্ত্রিতভাবে হামলা চালিয়ে লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করে। এই অস্ত্রের বিশেষত্ব হলো- একবার লক্ষ্যবস্তু চিহ্নিত করা হলে, এরা সরাসরি নিজেদের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আঘাত হানে। ফলে এগুলোর পুনঃব্যবহার সম্ভব নয়। ভারত সরকারের প্রকাশিত বিবৃতি অনুসারে, অপারেশন সিঁদুরে মোট ৯টি স্থানে হামলা চালানো হয়। এর মধ্যে চারটি পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডে এবং পাঁচটি পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে অবস্থিত।

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই হামলায় কোনো পাকিস্তানি সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করা হয়নি। টার্গেটগুলো আগে থেকে যাচাই করা হয়েছিল। সেসব জায়গায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর অপারেশন সেন্টার রয়েছে এমন তথ্য নিশ্চিত হওয়ার পরেই হামলা চালানো হয়।

অন্যদিকে মঙ্গলবার মধ্যরাতে ভারতের চালানো হামলার জবাব দিয়েছে পাকিস্তানও। ইসলামাবাদের হামলায় ভারত শাসিত কাশ্মীরে ১৫ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৪৩ জন। দিল্লির বিমান হামলার জবাবে দেশ দুটির মধ্যে কার্যত সীমান্ত হিসেবে পরিচিত এলাকায় পাকিস্তান যখন ভারী গোলাবর্ষণ শুরু করে, তখন এই ঘটনা ঘটে ।

ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তানি ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর তাৎক্ষণিক প্রতিরক্ষায় ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে পরে বলা হয়, তারা তিনটি রাফাল, একটি এসইউ-৩০ এবং একটি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে।

স্থলভাগের শক্তি বিবেচনায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভারত এগিয়ে থাকলেও স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র সেলফ প্রোপেলড আর্টিলারি ও মোবাইল রকেট প্রোজেক্টর বা রকেট লঞ্চারের সংখ্যায় এগিয়ে রয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের সেলফ প্রোপেলড আর্টিলারি সংখ্যা ৬৬২, ভারতের ১০০। পাকিস্তানের মোবাইল রকেট প্রোজেক্টর ৬০০, ভারতের ২৬৪।

এছাড়া অন্যান্য সমরাস্ত্রের মধ্যে ভারতের ট্যাংক সংখ্যা ৪ হাজার ২০১টি, সাঁজোয়া যান ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫৯৪টি, টোওড আর্টিলারি বা টেনে নেয়ার কামান ৩ হাজার ৯৭৫টি। পাকিস্তানের ট্যাংক রয়েছে ২ হাজার ৬২৭টি, সাঁজোয়া যান ১৭ হাজার ৫১৬টি, টোওড আর্টিলারি ২ হাজার ৬২৯ টি।

তবে পাকিস্তান ঠিক কোন প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভারতের হামলার জবাব দিয়েছে তা এখনো স্পষ্টভাবে জানা যায়নি।

সেনাবাহিনীকে ভারতে হামলা চালানোর সবুজ সংকেত দিলো পাকিস্তান

সেনাবাহিনীকে ভারতে হামলা চালানোর সবুজ সংকেত দিলো পাকিস্তান

 







ভবনা ডেস্কঃ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের নেতৃত্বে বুধবার জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি (এনএসসি) পাঞ্জাব এবং আজাদ কাশ্মীর জুড়ে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র, বিমান এবং ড্রোন হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। একে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে।

বৈঠকে নিশ্চিত করা হয়েছে যে পাকিস্তান জাতিসংঘ সনদের ৫১ অনুচ্ছেদের অধীনে প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার সংরক্ষণ করে এবং সশস্ত্র বাহিনীকে সংশ্লিষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। কমিটি পাকিস্তানি ভূখণ্ডের প্রতিরক্ষার সময় পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান এবং ড্রোন ভূপাতিত করার জন্য সেনাবাহিনীর প্রশংসাও করেছে।

এনএসসি বলেছে, মসজিদ এবং বাড়িঘরসহ বেসামরিক এলাকাগুলোতে ভারতের ইচ্ছাকৃত লক্ষ্যবস্তুতে নিরীহ পুরুষ, নারী এবং শিশুদের হত্যা করা হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন। এটি সতর্ক করে দিয়েছে যে আঞ্চলিক উত্তেজনার জন্য দায়বদ্ধতা সরাসরি ভারতের।

ভারতকে জবাবদিহি করার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে এনএসসি মর্যাদার সাথে শান্তির প্রতি পাকিস্তানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। জোর দিয়ে বলেছে, এটি কখনই তার জনগণের ক্ষতি বা তার আঞ্চলিক অখণ্ডতার কোনও লঙ্ঘন হতে দেবে না।

ভারত ‘কাপুরুষোচিত’ হামলা চালিয়েছে: পাক প্রধানমন্ত্রী

ভারত ‘কাপুরুষোচিত’ হামলা চালিয়েছে: পাক প্রধানমন্ত্রী

 




ভবনা ডেস্কঃ পাকিস্তানে হামলা চালানোর ঘটনায় ভারতকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ আখ্যায়িত করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তিনি বলেন, তারা পাকিস্তানের ভেতরে পাঁচটি জায়গায় ‘কাপুরুষোচিত’ হামলা চালিয়েছে। এই ঘৃণ্য আগ্রাসনমূলক পদক্ষেপ শাস্তি ছাড়া পার পাবে না। বুধবার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি খবর বিবিসি। শাহবাজ শরিফ বলেছেন, কোনো উসকানি ছাড়া ভারতের এই হামলার সুনির্দিষ্ট জবাব দেওয়ার পূর্ণ অধিকার পাকিস্তানের আছে এবং উপযুক্ত জবাব দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, পুরো দেশবাসী সশস্ত্র বাহিনীর পেছনে ঐক্যবদ্ধ আছে। আমাদের মনোবল ও সংকল্প অটুট রয়েছে। পাকিস্তানের সাহসী কর্মকর্তা ও সেনাদের জন্য আমাদের দোয়া ও শুভ কামনা রয়েছে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের শক্তি ও সংকল্পের জন্য যে হুমকি মোকাবিলা ও সেটাকে পরাজিত করার জন্য পাকিস্তানের জনগণ ও এর বাহিনীগুলো সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে। শত্রুপক্ষকে কখনো তার কুৎসিত উদ্দেশ্য সফল করতে দেওয়া হবে না।

কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার পর চলমান উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত।

পাকিস্তানের আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানান, এ হামলায় পাকিস্তানে অন্তত দুই শিশুসহ আটজন নিহত ও ২৫ জন আহত হয়েছেন। তিনি বলেন, বুধবার প্রথম প্রহরে পাকিস্তানের কোটলি, ভাওয়ালপুর, মুরিদকে, বাগ ও মুজাফ্ফরবাদে ‘কাপুরুষোচিত’ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। পাকিস্তান সেনাবাহিনী ইতোমধ্যে এর বদলা নিতে শুরু করেছে।

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ সংবাদমাধ্যম এআরওয়াই নিউজকে জানিয়েছেন, ভারত বেসামরিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। এ কাপুরুষরা (ভারতীয়রা) তাদের নিজেদের আকাশসীমা থেকে হামলা চালিয়েছে। তারা তাদের বাড়ি কখনো ছাড়েনি। তাদের বের হতে দিন। আমরা উপযুক্ত জবাব দেব।

কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার পর চলমান উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল ভারত। 

এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ভারতের সশস্ত্র বাহিনী ‘অপারেশন সিন্দুর’ শুরু করেছে। এর আওতায় পাকিস্তান ও পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের নয়টি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী বুধবার এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।

বিবৃতিতে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী জানায়, ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের অভিযানে পাকিস্তানের ৯টি জায়গায় হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলায় সশস্ত্র গোষ্ঠীর অবকাঠামো লক্ষ্য করা হয়েছে। পাকিস্তানের সেনা সদস্যদের ওপর কোনো হামলা চালানো হয়নি। 

ভারতের সাময়িক আনন্দ স্থায়ী দুঃখে পরিণত হবে: পাকিস্তান

ভারতের সাময়িক আনন্দ স্থায়ী দুঃখে পরিণত হবে: পাকিস্তান

 



ভবনা ডেস্কঃ ভারত শাসিত কাশ্মীরের পহেলগাঁও হামলা নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে পাকিস্তানের ছয়টি শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। এসব হামলায় অন্তত আটজন নিহত এবং ৩৫ জন আহত হয়েছে। এর পাল্টা জবাবে রাতেই পাল্টা হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তান সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা হামলায় অংশ নেওয়া ভারতের পাঁচটি জঙ্গি বিমান ভূপাতিত করেছে। কাশ্মীরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি ব্রিগেডের সদরদপ্তর ও তল্লাশি চৌকিও গুঁড়িয় দেওয়ার দাবি করেছে তারা। ভারতের সেনাবাহিনী বলেছে, কাশ্মীরে পাকিস্তানি সেনাদের ছোড়া গোলার আঘাতে তিনজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।  পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ভূপাতিত করা পাঁচটি ভারতীয় জঙ্গি বিমানের মধ্যে তিনটি রাফাল, একটি রাশিয়ান এসইউ-৩০ ও আরেকটি মিগ-২৯ জঙ্গি বিমান। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেন, পাকিস্তানে হামলা চালানোর পরই এসব ভারতীয় বিমানকে ভূপাতিত করা হয়েছে। তবে যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার বিষয়ে ভারতের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এটা হয়ে থাকলে তা কয়েক দশকের মধ্যে ভারতের সামরিক বাহিনীর জন্য সবচেয়ে বড় ক্ষতি হবে। এদিকে ভারতের এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে ‘কাপুরুষোচিত’ আখ্যায়িত করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এর সমুচিত জবাব দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।  সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন বলা হয়েছে, পাকিস্তানের আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, দ্ব্যর্থহীন ভাষায় আমি বলতে চাই যে নিজের মতো সময় এবং জায়গা বেছে নিয়ে এটার জবাব দেবে পাকিস্তান। এই যে উস্কানি দেওয়া হল, সেটার জবাব দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেছেন, আমাদের বিমান বাহিনীর সব জেট আকাশে উড়ছে। ভারতীয় আকাশসীমা থেকেই এই কাপুরুষোচিত এবং লজ্জাজনক হামলা চালানো হয়েছে। ওদের কখনোই পাকিস্তানের আকাশসীমার অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। ভারতের ক্ষণস্থায়ী আনন্দ চিরস্থায়ী দুঃখে পরিণত হবে। ভারত এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার পর। ‘অপারেশন সিঁদুর’ নাম দিয়ে এই অভিযান চালিয়েছে ভারতীয় বাহিনী। এর আওতায় পাকিস্তান ও পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের নয়টি স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে। পাকিস্তানের ছয় শহর-পাঞ্জাবের শিয়ালকোট, ভাওয়ালপুর ও মুরিদকে এবং পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরের রাজধানী মুজাফ্ফরাবাদ, বাগ ও কোটলি শহরে একের পর এক ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। ভারতের সেনাবাহিনী বলেছে, তারা পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর কোনো স্থাপনায় হামলা চালায়নি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম পিটিআই জানিয়েছে, ভাওয়ালপুরে পাকিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী জইশ-ই-মোহাম্মদের প্রধান কার্যালয় এবং মুরিদকে শহরে পাকিস্তানভিত্তিক আরেক সশস্ত্র গোষ্ঠী লস্কর-ই-তায়েবার প্রধান কার্যালয়সহ সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর আস্তানায় এসব হামলা চালিয়েছে।

 ব্রিগেড সদর দপ্তর ধ্বংস, পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় ৫ ভারতীয় যুদ্ধ বিমান ভূপাতিত

ব্রিগেড সদর দপ্তর ধ্বংস, পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় ৫ ভারতীয় যুদ্ধ বিমান ভূপাতিত

 




ভবনা ডেস্ক : পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী নিশ্চিত করেছেন, ভারতীয় বিমান বাহিনীর সাথে সংঘর্ষের পর পাকিস্তান বিমান বাহিনীর সমস্ত যুদ্ধ বিমান নিরাপদে রয়েছে। বিধ্বস্ত হওয়া ভারতীয় বিমান বাহিনীর (আইএএফ) যুদ্ধ বিমানগুলির মধ্যে তিনটি ফরাসি তৈরি রাফায়েল, একটি এসইউ৩০এমকেআই এবং একটি এমআইজি-২৯ ফুলক্রাম রয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে একজন সামরিক মুখপাত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী নিয়ন্ত্রণরেখার (এলওসি) ধুন্দিয়াল সেক্টরে একটি শত্রু পোস্টও ধ্বংস করার দাবি করেছে। নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাথে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর তীব্র গুলি বিনিময় চলছে। এর আগে পাকিস্তানের কোটলি, বাহাওয়ালপুর, মুরিদকে, বাগ এবং মুজাফ্ফরাবাদ সহ ছয়টি স্থানে ভারত হামলা চালায়। পাকিস্তান আইএসপিআর জানিয়েছে, বেসামরিক নাগরিকদের উপর হামলায় আটজন পাকিস্তানি নিহত, ৩৫ জন আহত হয়েছে। লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী বুধবার ভোরে বলেছেন, পাঞ্জাব এবং আজাদ কাশ্মীরের কয়েকটি শহরে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে আটজন পাকিস্তানি শহীদ এবং ৩৫ জন আহত হয়েছেন। ডিজি আইএসপিআর বিস্তারিতভাবে জানিয়ে বলেন, ভারত পাকিস্তানের ছয়টি স্থানে ২৪টি আক্রমণ চালিয়েছে। এসব হামলার লক্ষ্যবস্তুই ছিল বেসামরিক স্থাপনা, যার বেশিরভাগই মসজিদ ছিল। ভারতীয় গোলাবারুদ আশেপাশের আবাসিক কাঠামোরও ক্ষতি করেছে। ভারতীয় অবৈধভাবে অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের (আইআইওজেকে) পহেলগামে পর্যটকদের উপর হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর পারমাণবিক-সশস্ত্র দুই প্রতিবেশীর মধ্যে তীব্র উত্তেজনার মধ্যে ভারত এই হামলা চালালো।  পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ নিশ্চিত করেছেন, ভারতের সাম্প্রতিক আন্তঃসীমান্ত আগ্রাসনের জবাবে পাকিস্তান বিমান বাহিনী কমপক্ষে পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে।   জিও নিউজের সাথে কথা বলতে গিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ভারতীয় বাহিনীর আক্রমণের জবাবে পাকিস্তান তাদের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপে শীর্ষে রয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় দৃঢ়ভাবে কাজ করেছে। সূত্র:জিও নিউজ

সোমবার, ৫ মে, ২০২৫

খুলনায় চুরির ঘটনায় সংঘর্ষ: গুলিবিদ্ধ আজিজুলকে ঢাকায় প্রেরণ

খুলনায় চুরির ঘটনায় সংঘর্ষ: গুলিবিদ্ধ আজিজুলকে ঢাকায় প্রেরণ





ভবনা ডেস্ক : খুলনার বাগমারা এলাকার একটি দোকান চুরির ঘটনায় সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় দুর্বৃত্তরা একজনকে গুলি এবং অপরজনকে ধারালো অস্ত্রদিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে। আজ রোববার (৪ মে) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে নগরীর বাগমারা ব্রিজের সন্নিকটে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। আহতরা হলেন, বাগমারা ব্রিজ সংলগ্ন মো. খলিল শেখের ছেলে মো. আজিজ (৪৫), একই এলাকার ইয়াকুব আলী শেখের ছেলে মো. সিরাজুল ইসলাম (৪২) তার ছোটভাই শহিদুল ইসলাম (৩৭) এবং মো. নজরুল ইসলাম। দুর্বৃত্তের ছোড়া গুলিতে আব্দুল আজিজের বুকের ডানপাশে বিদ্ধ হয়। তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। বাকী তিনজন শঙ্কামুক্ত হওয়ায় তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয়ারা জানান, শনিবার রাতে বাগমারা এলাকার মুদি দোকান শিরীনা স্টোর চুরি হয়। স্থানীয়রা রাতে ওই চুরির ঘটনায় দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসলে চুরি হওয়া মালামালা তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। রাতে ওই দু’জনকে থানায় হস্তান্তর এবং পরবর্তীতে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। স্থানীয়রা আরও জানান, রাতের ওই চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোববার দুপুরে স্থানীয় এক সন্ত্রাসীর নেতৃত্বে সেখানে গোলাগুলি এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কয়েকজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়। আজিজ, সিরাজুল, শহিদুল এবং নজরুল গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনার পর থেকে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করে ওই এলাকায়। যে কোন মুহূর্তে আরও একটি ঘটনা ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসী ধারণা করছে। খুলনা থানার অফিসার ইনচার্জ সানোয়ার হুসাইন মাসুম বলেন, জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এর ফোন পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। দোকান চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাগমারা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। উভয় পক্ষকে শান্ত রাখার চেষ্টা অব্যাহত আছে। এ ঘটনায় ৪ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এদের মধ্যে আজিজের অবস্থা আশংকাজনক। এ ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন এবং সেখানে এখনও পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।