সর্বশেষ

সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪

ফকিরহাটে জামায়াতে ইসলামির বিজয় র‍্যালি

ফকিরহাটে জামায়াতে ইসলামির বিজয় র‍্যালি

 


মোঃ খালিদ,ফকিরহাটঃ 

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বাগেরহাটের ফকিরহাটে বিজয় র‍্যালি করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় উপজেলার ডাকবাংলা মোড় থেকে বিজয় র‍্যালিটি শুরু হয়ে উপজেলা উপজেলা চত্বরে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।


বিজয় র‍্যালিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামির ফকিরহাট উপজেলা আমির মাওলানা এ,বি,এম তৈয়াবুর রহমান। উপজেলা সেক্রেটারি শেখ আবুল আলা মাসুম। উপজেলা সহকারি সেক্রেটারি সুমন হোসেন। জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান। অধ্যাপক মুফাজ্জল হায়দার, আবু আইউব আনছারী, দেলোয়ার খান লাবিব সহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।


দীর্ঘ ১৫ বছর পর বাধাহীনভাবে বিজয় র‍্যালি করতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা। তারা বলেন, বিগত ১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকার আমাদের বিজয় র‍্যালি পর্যন্ত করতে দেয়নি। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। বিরোধী মত দমন করতে আগ্রাসী মনোভাব ছিল। এবার বাধাহীনভাবে বিজয়ী করতে পেরে আমরা আনন্দিত বলেও মন্তব্য করেন জামায়াতে ইসলামির নেতাকর্মীরা।

শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪

পশ্চিম বানিয়াখামার মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

পশ্চিম বানিয়াখামার মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা



ভবনা ডেস্ক :খুলনার পশ্চিম বানিয়াখামার মেইন রোডস্থ, পশ্চিম বানিয়াখামার দারুল কুরআন বহুমুখী মাদ্রাসার নূরানী দ্বিতীয় শ্রেণীর পবিত্র কুরআনুল কারীম ছবক, নূরানী তৃতীয় শ্রেণীর সমাপনী শিক্ষার্থী ও ইবতেদায়ী পঞ্চম শ্রেণীর বিদায়ী শিক্ষার্থীদের দোয়া অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। ২১শে নভেম্বর, বৃহস্পতিবার সকাল নয়টায় মাদ্রাসা ময়দানে মাদ্রাসার পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল্লাহ মোড়ল খোকনের সভাপতিত্বে ও সহকারী প্রধান শিক্ষক মাওঃ মুহাঃ ফজলুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন খুলনা আলিয়া কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল ডঃ মোঃ আব্দুর রহিম সরদার, বিশেষ অতিথি ছিলেন নূরানী তালিমুল কুরআন বোর্ড খুলনা আঞ্চলিক জিম্মাদার মাওঃ মোঃ আজগর আলী, স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মাওঃ মোঃ রফিকুল ইসলাম, পরিচালনা পরিষদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন সহ সভাপতি শেখ জামাল উদ্দিন, ২৬নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোঃ মাহমুদ আলম বাবু মোড়ল, কোষাধ্যক্ষ মোঃ সেলিম আহমেদ, শিক্ষা উপ কমিটির সদস্য সচিব আলহাজ্ব মোঃ রফিকুল ইসলাম মোড়ল, এসময় উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি মোঃ তাসাদুজ্জামান, মোঃ খলিলুর রহমান, মোঃ সিরাজুল ইসলাম, এম এ সবুর, ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ জিলুর রহমান, মোঃ ইকবাল আহমেদ স্বপন, মোঃ আলম শেখ, মোঃ আবুল ফজল, মোঃ কবির উদ্দিন মোড়ল, মোঃ রমিজুল ইসলামসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ, শুভাকাঙ্ক্ষী, হিতাকাঙ্ক্ষীসহ অভিভাবক, অভিভাবিকা ও সকল শিক্ষকবৃন্দ। অনুষ্ঠানে নূরানী দ্বিতীয় শ্রেণীর ৯০জন শিক্ষার্থীদের পবিত্র কুরআনুল কারীম ছবক প্রদান, তৃতীয় শ্রেণীর ৫৩জন শিক্ষার্থীর কুরআনুল কারীমের খতম সম্পন্ন এবং পঞ্চম শ্রেণীর বিদায়ী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও ২০২৩ সালে নূরানী তালিমুল কুরআন বোর্ড ঢাকা এর অধীনে অনুষ্ঠিত তৃতীয় শ্রেণীর সমাপনী পরীক্ষায় সমগ্র বাংলাদেশে ২য়, ৩য় স্থানসহ শীর্ষ দশে সাতজন স্থান অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি, সম্মাননা স্মারক, এবং ৭১জন এ প্লাস প্রাপ্ত শিক্ষার্থী, হুফফাজুল কুরআন ফাউন্ডেশন এর পরীক্ষায় বিভিন্ন পর্যায়ে মেধাস্থান অর্জনকারী' হিফজুল কুরআন শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য যে, খুলনা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত পশ্চিম বানিয়াখামার দারুল কুরআন বহুমুখী মাদ্রাসা ২০২১ সনেও নূরানী তালিমুল কুরআন বোর্ড ঢাকা কর্তৃক আয়োজিত তৃতীয় শ্রেণীর সমাপনী পরীক্ষায় সমগ্র বাংলাদেশের মধ্যে সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করে এবং বিগত কয়েক বছর যাবত ধারাবাহিকভাবে ইবতেদায়ী সমাপনীতে সর্বাধিক সংখ্যক বৃত্তি ও এ+ পেয়ে বৃহত্তর খুলনা বিভাগে প্রথম স্থান এবং নূরানী ততীয় শ্রেণীর সমাপনী পরীক্ষায় সর্বাধিক সংখ্যক এ+ পেয়ে সেরা দশে প্রথম স্থানসহ একাধিক স্থান অর্জন করে আসছে। ১৯৫২ সালে প্রতিষ্ঠিত এ মাদ্রাসাটি ১৯৯৯ সালে এলাকাবাসীর সার্বিক সহযোগিতা ও পরিচালনা পরিষদের প্রচেষ্টায় পুনঃনির্মিত হয়। ধর্মীয় নৈতিক ও যুগোপযোগী শিক্ষার অঙ্গীকার নিয়ে দৃষ্টিনন্দন বহুতল বিশিষ্ট ভবনে সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে দক্ষ শিক্ষকমন্ডলী দ্বারা বর্তমানে হিফজ, ক্বিরাত, নূরানী ও ইবতেদায়ী শাখায় শিক্ষা কার্যক্রম চলছে।

রবিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৪

মাজলিসুল মুফাসসিরীন বাগেরহাট জেলার ডায়েরি বিতরণ ও আলোচনা সভা

মাজলিসুল মুফাসসিরীন বাগেরহাট জেলার ডায়েরি বিতরণ ও আলোচনা সভা

 


ভবনা ডেস্কঃ 

বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরীন বাগেরহাট জেলা শাখার উদ্যোগে প্রশিক্ষণ,ডায়েরী বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাজলিসুল মুফাসসিরীন বাগেরহাট জেলার সভাপতি হাফেজ মাওঃ রুহুল আমিন এর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওঃ শরিফুল ইসলাম নোমানীর সঞ্চালনায় গত শনিবার সকাল নয়টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বাগেরহাট জেলা অফিস অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরীনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যক্ষ মাওঃ আব্দুল হামিদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী খুলনা অঞ্চলের টিম সদস্য অধ্যক্ষ মাওঃ মশিউর রহমান খান, প্রধান বক্তা ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর বাগেরহাট জেলা আমীর মাওঃ রিজাউল করিম, বিশেষ বক্তা ছিলেন জামায়াতে ইসলামী বাগেরহাট জেলা নায়েবে আমীর এ্যাডভোকেট মাওলানা আব্দুল ওয়াদুদ, সেক্রেটারি শেখ মোঃ ইউনুস আলী,জামায়াতে ইসলামী বাগেরহাট জেলার সহকারী সেক্রেটারি মল্লিক মিজানুর রহমান, শিক্ষা ও সাহিত্য বিষয়ক সেক্রেটারি হাফেজ মোবারাক হোসাইন, ওলামা বিভাগের বাগেরহাট জেলা সভাপতি অধ্যক্ষ মাওঃ আলতাফ হোসাইন, জামায়াতে ইসলামী বাগেরহাট সদর উপজেলার আমীর মাওঃ মোঃ ফেরদাউস আলী। সভায় বাংলাদেশ মজলিসুল মুফাসসিরিন বাগেরহাট জেলার সকল উপজেলার মুফাসসিরগন অংশগ্রহণ করেন।

বুধবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৪

উলামাদের মধ্যে রুহানী ঐক্য প্রয়োজন: জামায়াত আমির

উলামাদের মধ্যে রুহানী ঐক্য প্রয়োজন: জামায়াত আমির

 


ভবনা ডেস্ক: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘উলামাদের রুহানী ঐক্য প্রয়োজন। রুহানী ঐক্য হলে আমরা আল্লাহর পক্ষ থেকে অবারিত বারাকা লাভ করব। আমরা ঐক্য চাই।’

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) লন্ডনের অনুষ্ঠিত ব্রিটেনের সর্বদলীয় উলামা সংগঠন ‘বাংলাদেশি উলামা মাশায়েখ ইউকে’ কর্তৃক আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আবার বিভিন্ন শর্ত দিয়ে বসে থাকি। একজন শর্ত দিলে তো অন্যজনও শর্ত দেবেন। এভাবে শর্তের বেড়াজালে শেষ পর্যন্ত ঐক্য প্রক্রিয়া কঠিন হয়ে যায়। আমাদের দেশে আলেম উলামার মধ্যে ছোটখাটো বিষয়ে কিছু মতানৈক্য রয়েছে। সবার চিন্তা ও কর্মপরিধি একই ধরনের নয়। কিন্তু যারা জীবনের পাথেয় হিসেবে কোরআনকে কবুল করেছেন, হযরত মুহাম্মদ (স.) এর নেতৃত্বকে অকুণ্ঠচিত্তে গ্রহণ ও স্বীকৃতি দেন এবং সাহাবায়ে কেরাম (রা) কে আল্লাহ ও রাসূল (স.) এর আনুগত্যের ক্ষেত্রে বাস্তব মডেল মনে করেন, এই তিন জায়গা ঠিক থাকলে আমাদের মধ্যে ঐক্য হওয়া সম্ভব।’

ব্রিটেনে সফররত জামায়াতের আমীর আরও বলেন, ‘দ্বীন সবার। সুতরাং আমরা সবাইকে নিয়ে দ্বিনের জন্য লড়াই চালিয়ে যাব। কেউ আমাদের স্বীকৃতি বা মর্যাদা দিল কি না আমরা তার পরোয়া করব না। আমরা সবাইকে ভাই ও বন্ধু মনে করে সামনে আগানোর চেষ্টা করব, ইনশাআল্লাহ।’

মতবিনিময় সভায় তিনি উপস্থিত উলামা মাশায়েখদেরকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য যত ইসলামী সংগঠন ও মারকায রয়েছে, আপনারা আমাদের মধ্যে কোনো ভুল দেখলে সংশোধন করে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। আপনারা সহযোগিতা করলে আমাদের জন্য দ্বিনের পথে চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে।

তিনি আলেমদের ভুল ধরিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব পালন করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আপনাদের ও আমাদের মধ্যে পারস্পরিক দোয়া, ভালবাসা ও সহযোগিতা থাকলে আমরা এগিয়ে যেতে পারব।

তিনি বলেন, বৃটেনকে বিশ্বের বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এমন একটি পরিবেশে আপনারা আছেন যেখানে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশের চেয়েও বেশি স্বাধীনতা ভোগ করছেন। এখানে আপনাদের মেধার বিকাশের ক্ষেত্রে কেউ বাধা দেয় না, যেমনটি বাংলাদেশে বিভিন্নভাবে দেয়া হয়। এখানে মেধার চর্চা বেশি হওয়ার কারণে আপনাদের ওপর আমাদের হকও বেশি। আপনারা সে হক আদায় করবেন ইনশাআল্লাহ।

বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন ‘বাংলাদেশি উলামা-মাশায়েখ ইউকে’র সভাপতি মাওলানা এ কে মওদুদ হাসানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা শাহ মিজানুল হক ও মাওলানা এফ কে এম শাহজাহান এর পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন ‘কাউন্সিল ফর মাস্ক’ ও ‘ইশায়াতুল ইসলাম’ এর চেয়ারম্যান মাওলানা হাফেজ শামসুল হক, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল কাদির সালেহ, বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ মুফতি শাহ সদরউদ্দীন, দাওয়াতুল ইসলাম ইউকের আমির শায়খ আব্দুর রহমান মাদানী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ডক্টর শুয়াইব আহমদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা ফয়েজ আহমদ প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- শেখ ইসহাক আল মাদানী, অধ্যাপক মফিজুর রহমান, মাজাহিরুল উলুম মাইল্ড এর প্রিন্সিপাল শেখ ইমদাদুর রহমান মাদানী, ড. আব্দুস সালাম আজাদী, বাংলাদেশি উলামা-মাসায়েখ এর সাবেক সভাপতি মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা রেজাউল করীম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ ইউকের সহ সভাপতি আলহাজ মাওলানা আতাউর রহমান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউকের সহ সভাপতি মাওলানা সৈয়দ তামীম আহমদ, মসজিদে আয়েশা টটেনহামের খতিব মাওলানা খিজির হোসেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ ইউ কে র সেক্রেটারি মুফতি সালেহ আহমদ, জমিয়তে উলামা ইসলাম ইউকের সেক্রেটারি মাওলানা সৈয়দ নাঈম আহমদ, খেলাফত মজলিশ ইউ কে সাউথ এর সহ সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল করিম, বাংলাদেশি উলামা মাশায়েখ ইউকের অর্থ সম্পাদক মাওলানা মুমিনুল ইসলাম ফারুকী, মাওলানা রফিক আহমদ রফিক, বাংলাদেশি উলামা মাশায়েখ ইউকের প্রচার সম্পাদক মাওলানা তায়ীদুল ইসলাম, দারুল উম্মাহ মসজিদের ইমাম মাওলানা আবুল হাসানাত চৌধুরী, খেলাফত মজলিশ লন্ডন শাখার সহ সম্পাদক মাওলানা দিলাওয়ার হোসেন প্রমুখ।

ওমরা পালনকারীদের জন্য নতুন নির্দেশনা

ওমরা পালনকারীদের জন্য নতুন নির্দেশনা

 


ভবনা ডেস্ক: ওমরাহ পালনকারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও পরিবেশগত দিক বিবেচনায় নতুন নির্দেশনা জারি করেছে সৌদি আরব। এ নির্দেশনায় মক্কার মসজিদুল হারামে ওমরাহর তাওয়াফ ও সাঈ শেষ করার পর শুধু অনুমোদিত নাপিতের কাছেই চুল কাটানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং পরিবেশগত দিক বিবেচনায় এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।  

নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে নাপিতের দোকানগুলোতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বাড়ানোর দিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এবং কঠোর স্যানিটেশন ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করা ও শেভিং রেজার পুনরায় ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এছাড়া ওই নির্দেশনায় ওমরাহ পালনকারীদের পায়ের যত্ন নিতে বলা হয়েছে। আরামদায়ক জুতা পরিধান করতে এবং দীর্ঘ সময় খালি পায়ে না হাঁটার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ক্লান্তি এলে বিরতি নিয়ে বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ওমরাহর সফরে ভারী খাবার এড়িয়ে চলতে এবং পর্যাপ্ত পানি পান করতে বলা হয়েছে।

সৌদি আরবের হজ মন্ত্রণালয় ওই নির্দেশনায় আরও জানায়, ওমরাহ ভিসার মেয়াদ ৩০ দিন থেকে বাড়িয়ে ৯০ দিন করা হয়েছে। এখন থেকে ওমরাহ যাত্রীরা স্থল, আকাশ এবং সমুদ্রবন্দর দিয়ে সৌদি আরবে প্রবেশ করতে পারবেন এবং যে কোনো বিমানবন্দর থেকে স্বদেশে ফিরতে পারবেন। 

এছাড়া নারীদের ওমরাহর সুবিধার জন্যও নতুন ব্যবস্থা চালু হয়েছে। তারা পুরুষ অভিভাবক ছাড়াই ওমরাহ পালন করতে পারবেন।

শুক্রবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৪

শেখ হাসিনাকে আইনের হাতে তুলে দিতে ভারতকে জামায়াত আমীরের অনুরোধ

শেখ হাসিনাকে আইনের হাতে তুলে দিতে ভারতকে জামায়াত আমীরের অনুরোধ

 


ভবনা ডেস্ক:  আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে শেখ হাসিনাকে তুলে দিতে প্রতিবেশী দেশ ভারতকে অনুরোধ জানিয়েছেন জামায়াতের আমীরে ডা. শফিকুর রহমান। আজ শুক্রবার নীলফামারীর বড়মাঠে আয়োজিত জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।   

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে শেখ হাসিনাকে তুলে দিতে প্রতিবেশী দেশ ভারতকে অনুরোধ জানিয়েছেন জামায়াতের আমীরে ডা. শফিকুর রহমান। আজ শুক্রবার নীলফামারীর বড়মাঠে আয়োজিত জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

ড. শফিকুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন পালাবেন না। কিন্তু তিনি চলে গিয়ে তার প্রিয় দেশে আশ্রয় নিলেন। তারা আমাদের প্রতিবেশী। প্রতিবেশীকে আমরা সম্মান করি। আমার প্রতিবেশী যদি ভালো থাকে, আমিও ভালো থাকবো। প্রতিবেশীকে যদি আমি কষ্ট দিই অনুরূপ কষ্ট পাওয়ার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। কোনো প্রতিবেশীকে কষ্ট দেওয়া আমরা বিশ্বাস করি না। অনুরূপভাবে প্রতিবেশীর কাছ থেকেও আমরা সুপ্রতিবেশী সুলভ আচরণ পেতে চাই।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের প্রতিবেশীকে অনুরোধ করব যে, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে, দেড়শতাধিক মামলা। তার বিরুদ্ধে খুন-গুমের মামলা আছে। অনেক মামলা তার বিরুদ্ধে আছে। আমাদের বিচারক যখন চাইবে তখন মেহেরবানি করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তারা যেন শেখ হাসিনাকে তুলে দেন। আমরা চাই সাড়ে ১৫ বছর তারা জাতির ওপর যে জুলুম করেছে, বিচারের নামে যে তামশা করেছে, যে অবিচার করেছে সেটা শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের দোসররা যেন তাদের ন্যায় বিচারটা নিশ্চিত করা হয়। বিশ্বাস করি জাতি যদি ন্যায় বিচার পায় তাহলে তারা ইনশাআল্লাহ সন্তুষ্ট হয়ে যাবে। জামায়াতের আমির বলেন, একজন শাসক সাড়ে ১৫ বছর দেশ শাসন করেছেন। তিনি যখন কথা বলতেন তখন মানুষ বলতো, ও হাসিনা আমরা আর হাসি না। মানুষকে উত্তেজিত করতেন হাসানোর চেষ্টা করতেন। তেমন ছিলেন প্রধানমন্ত্রী তেমন ছিলেন তার উজির-নাজির সবাই। কে-কার চাইতে কত বেশি মিথ্যা কথা বলবে এই ছিল প্রতিযোগিতা।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকার জাতিকে ধোঁকা দিয়েছেন। মানুষ খুন করেছেন, গণহত্যা চালিয়েছেন। গুম করে আয়না ঘর তৈরি করেছেন, হাজারো মায়ের বুক খালি করেছেন, মানুষের ইজ্জতের ওপর হামলা করেছেন। আর জামায়াতে ইসলামী সারা বাংলাদেশের ইউনিয়নের অফিসগুলো সিলগালা করে দিয়েছিলেন। ঘরের মধ্যে বসেও আমরা শান্তি পাইনি। ঘর থেকে তুলে নিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দেওয়া হয়েছে। এসব ছিল বাংলাদেশের চলমান বাস্তবতা। সেই কষ্ট বুকে নিয়ে আমরা এ পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছি।

বাজারে আসতে শুরু করেছে শীতের সবজি

বাজারে আসতে শুরু করেছে শীতের সবজি


 ভবনা ডেস্ক: দাম যেনো স্থির হচ্ছে না রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজার। একটির দাম কমলে বেড়ে যায় অন্য পণ্যের দাম। এরই মধ্যে শীতকালীন সবজি বাজারে আসা শুরু করলেও খুচরা বাজারে পাওয়া যায়নি এর প্রভাব। এতে করে বিপাকে পড়তে হচ্ছে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের। তবে গত সপ্তাহের তুলনায় কেজি প্রতি ব্রয়লার মুরগীর দাম কমেছে ১০ থেকে ২০ টাকা। ডিমের দামও কিছুটা কমেছে। 


শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর কচুক্ষেত বাজার ঘুরে ও সংশ্লিষ্ট ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।


এসময় ডজন প্রতি ফার্মের ডিম ১৪৪-১৫০ টাকা টাকা, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৮৫-১৯০ টাকা এবং সোনালি মুরগি ২৯০-৩০০ টাকা ও গরুর মাংসের কেজি ৭০০ টাকা বিক্রি হতে দেখা যায়।


মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চাষের শিং মাছের কেজি (আকারভেদে) ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, রুই ৩৫০-৪০০ টাকা, দেশী কৈ ৭০০ টাকা, দেশি ট্যাংরা ৫০০ টাকা, পাঙ্গাস ২২০-২৫০, কাচকি ৫০০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০-২৮০ টাকা, পাবদা ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


মুরগীর দাম নিয়ে জানতে চাইলে কিশোরগঞ্জ চিকেন হাউজের স্বত্তাধিকারী আব্দুর রইফ বলেন, মুরগীর দাম এখন কিছুটা কম। কিছুদিন আগে ২০০-২১০ টাকা পর্যন্ত ব্রয়লার বিক্রি করছি এখন কমে আসছে। পাকিস্তানি সোনালির দামও কমেছে।


এসময় সবজি কিনতে আসা আব্দুল লতিফ নামের এক ক্রেতা বলেন, সারাদিন খবরে দেখি সবজির দাম কমছে, শীতের সবজি বাজারে আসছে কিন্তু বাজারে এসে তো তেমন কিছুই দেখি না। সবই বিক্রি হচ্ছে আগের দামে। কিছুটা হয়তো কমছে কিন্তু সেটাকে তো কমা বলে না।


আরিফুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা বলেন, অনেক কষ্টের মধ্যে দিয়ে আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের বাজার করতে হয়। শাকসবজি কিনতে গেলেই টাকা শেষ হয়ে যায় মাছ-মাংসের দিকে তো যাওয়ারই উপায় নেই। সরকার যদি বাজারের দিকে বিশেষভাবে নজরদারি না করে তাহলে আমাদের মতো পরিবারগুলোকে না খেয়ে মরতে হবে।


বাজার ঘুরেও পাওয়া যায় একথার সত্যতা। এদিন শীতের সবজির আধিক্য দোকানগুলোতে দেখা গেলেও দামে তাতে খুব একটা প্রভাব ফেলেনি। অন্যদিকে বেড়েছে আলু, পেয়াজ সহ আদা-রসুনের দামও। তবে স্থিতিশীল রয়েছে ব্রয়লার মুরগীর দাম।


এদিন বাজারটিতে প্রতি কেজি উস্তে ১০০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, শসা ৬০-৮০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিস ৫০-৭০ টাকা, বাধা কপি প্রতি পিস ৪০ টাকা, বরবটি কেজি প্রতি ১০০ টাকা, পটল ১০০ টাকা কেজি দরে, শিমের কেজি ১২০ টাকা, মুলা ৮০ টাকায়, গোল বেগুন ১৪০ টাকায়, কাচামরিচ কেজি প্রতি ২০০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, গাজর ১৬০ টাকা, টমেটো ১৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।


এছাড়াও প্রতি কেজি আলু ৭০ টাকা, প্রতি কেজি বড় পেঁয়াজ ১০০ ও দেশি পেঁয়াজ ১৪০ টাকা, রসুন ২৩০ টাকা, আদা ২৬০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছিলেন বিক্রেতারা।

রাজধানীতে বিএনপির র‌্যালি আজ

রাজধানীতে বিএনপির র‌্যালি আজ



 ভবনা ডেস্ক:জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে আজ র‌্যালি বের করবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। 


শুক্রবার (৮ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটায় রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে র‍্যালিটি শুরু হবে। এতে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, জ্যেষ্ঠ নেতা, মহানগর নেতা ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেবেন।


নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে থেকে র‍্যালির উদ্বোধন করবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আর মানিক মিয়া এভিনিউতে সমাপনী বক্তব্য দেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। লন্ডন থেকে তিনি ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হবেন বলে জানিয়েছে বিএনপি মিডিয়া সেল।


বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিএনপির পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শোভাযাত্রাটি রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে কাকরাইল, মৎস্য ভবন, ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট, শাহবাগ, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার ও ফার্মগেট হয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে গিয়ে শেষ হবে।


এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, র‍্যালিতে শুধু বিএনপির নেতাকর্মীরা থাকবে না, সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করবে। সেই সঙ্গে ঢাকা জেলার আশপাশের নেতাকর্মীরা ও সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করবে।


প্রসঙ্গত, ৭ নভেম্বরকে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে বিএনপি। দিবসটি উপলক্ষে শুধু রাজধানীতেই নয়, বিভাগীয় শহরগুলোতেও র‍্যালির আয়োজন করেছে দলটি।

শেখ হাসিনা এখন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী_ ভারত

শেখ হাসিনা এখন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী_ ভারত

 


ভবনা ডেস্ক: শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিবেচনা করে বলে জানিয়েছে ভারত। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল এই কথা জানান।


তিনি বলেন, আমরা বারবার বলেছি যে তিনি (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। এ বিষয়ে আমাদের অবস্থান এটাই।


ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের কাছে এক সাংবাদিক জানতে চান, শেখ হাসিনাকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাকি ‘নির্বাসিত প্রধানমন্ত্রী’ হিসেবে বিবেচনা করছে ভারত... এমন প্রশ্নের জবাবে ভারতের সরকারের অবস্থান তুলে ধরে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, আমরা এখান থেকে ইতিমধ্যে বলেছি যে, তিনি (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশের একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। সুতরাং এ বিষয়ে আমাদের এটাই অবস্থান।


গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে সামরিক বিমানে করে ভারতে যান শেখ হাসিনা। তখন থেকেই দিল্লির একটি সেফ হাউসে আছেন তিনি। 


তবে তিনি ঠিক কোন এলাকায় রয়েছেন, সেই বিষয়ে ভারতের সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও তথ্য জানানো হয়নি। এছাড়া ভারতের সরকার বাংলাদেশের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে কোন মর্যাদায় রেখেছে, সে বিষয়েও কিছু জানায়নি দিল্লি। 


ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে নয়াদিল্লির লুটিয়েনস বাংলো জোনের একটি সেইফ হাউসে বসবাস করছেন। গত দুই মাসের বেশি সময় ধরে ভারতের সরকার তার জন্য এই ব্যবস্থা করেছে। ভারত সরকারের মন্ত্রী, জ্যেষ্ঠ এমপি ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের জন্য বরাদ্দকৃত বাড়ির মতো লুটিয়েনসের বাংলোতে শেখ হাসিনাকে তার মর্যাদা অনুযায়ী একটি বাড়ি দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৪

কোন ফাঁদে পা না দেওয়ার আহ্বান

কোন ফাঁদে পা না দেওয়ার আহ্বান



 ভবনা ডেস্ক: কোনো অবস্থাতেই কারও উসকানির ফাঁদে পা না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আলোচক ও আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ।


বুধবার (৬ নভেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ আহ্বান জানান তিনি।


শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল ঐতিহ্যে কালিমা লেপনের নানামুখী চক্রান্ত চলমান আছে। সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও ধৈর্যধারণের আহ্বান করছি। কোনো অবস্থাতেই কারো উসকানির ফাঁদে কেউ যেন পা না দেয়।


ফেসবুক পোস্টে কোনো নির্দিষ্ট ঘটনার দিকে ইঙ্গিত না করলেও ধারণা করা হচ্ছে, বর্তমানে দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ও চট্টগ্রামে এক ব্যক্তির ইসকনবিরোধী ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এই আহ্বান জানিয়েছেন।


সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে প্রায় সব সময় নিজের মতামত ব্যক্ত করেন জনপ্রিয় এই ইসলামী আলোচক। সবশেষ দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতির পেছনে সিন্ডিকেটকে দায়ী করেন শায়খ আহমাদুল্লাহ।


তিনি বলেন, একশ্রেণির অতিলোভী মুনাফাখোর ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে দেশের কোটি কোটি মানুষ সব সময়ই কষ্টের শিকার হন। মজুতদারি ও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মানুষকে কষ্ট দেওয়া ব্যবসায়ী যতই নামাজ, রোজা, হজ, ওমরা পালন কিংবা দান-সদকা করুক না কেন, দুনিয়াতে সে প্রকৃত মুসলিম এবং আখেরাতে মুক্তি লাভ করতে পারবেন না।


তিনি আরও বলেন, যে সম্পদের জন্য এত আয়োজন, সে সম্পদই একদিন তাদের জাহান্নামের আগুনে পোড়ার কারণ হবে। কেননা নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘পাপাচারী লোক ছাড়া কেউ মজুতদারি ও সিন্ডিকেট করতে পারে না।’ (মুসলিম ১৬০৫)