ভবনা ডেস্কঃ আগামী ১৫ই অক্টোবর মঙ্গলবার প্রতি বছর ১১ রবিউস সানি ফাতেহা-ই-ইয়াজদহম পালন করা হয়। কিন্তু অনেকেই জানেন না ফাতেহা-ই-ইয়াজদহম কী। ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহাম হলো বড় পীর হজরত আবদুল কাদির জিলানী (রহঃ) এর ওফাত দিবস। হিজরি ৫৬১ সনের ১১ রবিউস সানি তিনি ইন্তিকাল করেন।
‘ইয়াজদাহম’ ফারসি শব্দ, যার অর্থ এগারো। ফাতিহা-ই-ইয়াজদাহম বলতে ১১তম দিনকে বোঝায়। এই ফাতিহা-ই-ইয়াজদাহম আবদুল কাদের জিলানী (রহঃ) এর স্মরণে পালিত হয়।
ইসলামের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ধর্মনেতা হজরত আবদুল কাদের জিলানী (রহঃ) এর নাম প্রত্যেক মুসলমানের কাছে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণীয়। মুসলমানদের ধর্মীয় জীবনে তার প্রভাব অপরিসীম। তার জীবনী ও কীর্তিগাথা মুসলমানদের হৃদয়ে চিরদিন জীবন্ত হয়ে থাকবে।
একজন আদর্শ পুরুষ হিসেবে বিশ্ব জগতে মুসলমানদের কাছে হজরত বড়পীর আবদুল কাদের জিলানী (রহঃ) কে পরম ভক্তি, শ্রদ্ধার সঙ্গে চিরকাল স্মরণ করবে। পৃথিবীতে আল্লাহ পাকের প্রেরিত নবী-পয়গম্বর এসেছেন ১ লাখ বা ২ লাখ ২৪ হাজার।
অন্যদিকে কামেল পীর, অলি, দরবেশ, ফকির যে কত এসেছেন তার ইয়ত্তা নেই। কিন্তু সব পীর, ফকির, দরবেশ, অলির সেরা ছিলেন হজরত আবদুল কাদের জিলানী (রহঃ) মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর ওফাতের প্রায় ৫০০ বছরপর জন্মগ্রহণ করেন। তখন ইসলাম ধর্ম এক নাজুক অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছিল।
পবিত্র কুরআন ও আল্লাহর রাসুল মুহাম্মদ (সাঃ)- এর আদর্শ ভুলে মানুষ বিপথে পা বাড়িয়েছিল, ঠিক এমনই সময় হজরত বড়পীর ইসলামের পথে মানুষকে ডাক দিয়েছিলেন।
হজরত আবদুল কাদের জিলানী (রহঃ)-এর বাবার নাম সৈয়দ আবু সালেহ এবং মায়ের নাম বিবি ফাতেমা। হজরত আবদুল কাদের জিলানি (রহঃ) ৪৭০ হিজরিতে ইরানের জিলান নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাগদাদের মহান পীর হজরত আবু সাঈদ ইবনে আলী ইবনে হুসাইন মাখরুমির (রহঃ) কাছে মারেফাতের জ্ঞানে পূর্ণতা লাভ করেন এবং খেলাফত প্রাপ্ত হন।
ইয়াজদহম পালনঃ এ কথা অনস্বীকার্য হজরত আবদুল কাদির জিলানী (রহঃ) এর অবদান বিশ্বে অনন্য। তিনি মুসলিমদের কাছে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তবে তার ওফাত উপলক্ষ্যে ঘটা করে দিনটি পালন করাকে উলামায়ে কেরাম জায়েজ মনে করেন না। কেননা ইসলাম এ ধরনের অনুষ্ঠানসর্বস্ব বিষয়কে স্বীকৃতি দেয় না। তবে এ দিনে তার শান্তির জন্য দোয়া মুনাজাত ও তার জীবনী আলোচনা করা যেতে পারে। এতে দোষের কিছু নেই।
0 coment rios: