মোঃ আবুল হাসান:
ঘুমের মধ্যে দুঃস্বপ্ন দেখে অনেকেই চমকে ওঠে। ভয় পেয়ে ঘাবড়ে যায়। ইসলাম যেহেতু পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা, তাই এ বিষয়েও রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘স্বপ্ন তিন প্রকার। এক. সত্য স্বপ্ন। দুই. মানব মনের চিন্তা-ভাবনা। অর্থাৎ যা চিন্তা করে, তাই দেখে। তিন. শয়তানের পক্ষ থেকে ভীতি প্রদর্শনমূলক দুঃস্বপ্ন। (জামে তিরমিজি)
স্বপ্ন সবসময় মিথ্যা ও বিভ্রমের হয় না। কখনো সত্যও হয়ে থাকে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যখন কেয়ামত ঘনিয়ে আসবে তখন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মুসলমানের স্বপ্ন সত্য হবে। তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে সত্যবাদী লোক সর্বাধিক সত্য স্বপ্নদ্রষ্টা হবে।’ (সহিহ মুসলিম) অনাকাক্সিক্ষত কোনো দুঃস্বপ্ন দেখে কেউ ঘুম থেকে জেগে উঠলে তার জন্য করণীয় কিছু কাজ উল্লেখ করা হলো।
বাম দিকে তিনবার থুথু ফেলা : হজরত আবু কাতাদা (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘ভালো স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে আর দুঃস্বপ্ন শয়তানের পক্ষ থেকে হয়। তোমাদের কেউ যদি দুঃস্বপ্ন দেখে, তবে সে যেন বামদিকে তিনবার থুথু নিক্ষেপ করে।’ (সহিহ মুসলিম)
আল্লাহর আশ্রয় চাওয়া : মহান আল্লাহর কাছে দুঃস্বপ্নের অনিষ্টতা থেকে আশ্রয় চাওয়া। যেন সেটার প্রভাব বাস্তব জীবনে না পড়ে। মহান আল্লাহর কাছে এই বিষয়ে আশ্রয় চাইলে আশা করা যায় তিনি দুঃস্বপ্নের অনিষ্টতা থেকে রক্ষা করবেন এবং মনের ভয় দূর করবেন।
প্রকাশ না করা : দুঃস্বপ্নের কথা কারও কাছে প্রকাশ না করা। হজরত আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ যদি পছন্দনীয় স্বপ্ন দেখে, তাহলে এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে। তাই সে যেন আল্লাহর প্রশংসা করে এবং অন্যের কাছে এ স্বপ্নের কথা বর্ণনা করে। আর যদি এর বিপরীত দুঃস্বপ্ন দেখে, তাহলে এটা শয়তানের পক্ষ থেকে। তাই সে যেন এর ক্ষতি থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চায়। আর কারও কাছে তা বর্ণনা না করে। তাহলে এ স্বপ্ন তার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।’ (সহিহ বুখারি)
0 coment rios: