ভবনা ডেস্ক: রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, রেলওয়ে থেকে মৌখিকভাবে ট্রেনের টিকিট ব্লক করে রাখা হয়। এখন থেকে মৌখিক বা টেলিফোনে টিকিট বিতরণ বন্ধ হয়ে যাবে। আবার বিভিন্ন স্টেশন থেকেও টিকিট বরাদ্দ আছে। এখন সেটা এক স্টেশনে বিক্রি না হলে অন্য স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর রেল ভবনে বাংলাদেশ রেলওয়ের রুট রেশনালাইজেশন এবং ই-টিকেটিং ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ফাওজুল কবির খান বলেন, রেলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাই রেলের টিকিট ব্লক করে রাখেন। রেলের টিকিট নিয়ে দুর্ভোগের কারণ তারাই। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই কালোবাজারি বন্ধে রেলের এক অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কালোবাজারি শিগগিরই বন্ধ করা হবে।
ট্রেনের অনলাইন টিকিট পদ্ধতিতে কিছু পরিবর্তন আন হচ্ছে জানিয়ে রেল উপদেষ্টা বলেন, আজকে একটা প্রেজেন্টেশন হয়েছে। সেখানে আমরা অনেক কিছু পেয়েছি।
রেলের টিকিট পদ্ধতি নিয়ে একটা ডায়াগনস্টিক হয়েছে। প্রেজেন্টেশনে দেখা গেল, কমলাপুর থেকে টিকিট চাইলেন সেখানে নেই। কিন্তু তেজগাঁও থেকে আছে। আবার ৭টার ট্রেনে টিকিট নাই, কিন্তু ১০টার ট্রেনে আছে। তবে সেটির কী অবস্থা তা জানা যাচ্ছ না।
রেলওয়ের অনলাইন টিকিট পদ্ধতির সহযোগী সহজকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, যাত্রী যেন এখন থেকে এটা দেখতে পান- কখন, কোথায় কোন স্টেশন থেকে টিকিট আছে। সহজ বলেছে, আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে এটা ঠিক হবে। না হলে আপনারা অভিযোগ করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে রেলের রুট রেশনালাইজেশন করা হবে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, যেখানে যাত্রী নাই সেখানে ট্রেন যাচ্ছে। আবার যেখানে যাত্রী আছে সেখানে ট্রেন নাই। প্রবাসীরা যেসব জায়গায় যায় যেমন ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-চট্টগ্রাম এসব রুটে আলাদা ব্যবস্থা নেব।
তিনি বলেন, রেলের প্রকল্পগুলো নিয়ে রিভিউ চলছে। অনেক প্রকল্প আগে হয়েছে যেগুলো কম গুরুত্বপূর্ণ। সামনে রেলের প্রকল্প নিয়ে আমরা আরো বেশি সতর্ক থাকব। আমরা সামনে এ নিয়ে বসব। কোন প্রকল্প কেন বাদ দেওয়া হয়েছে সেটা আমরা জানাব।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে আন্তনগর ট্রেনের প্রতিদিন এক লাখ ২৫ হাজার টিকিট থাকে। এ ছাড়া লোকাল, কমিউটার এবং এক্সপ্রেস ট্রেনে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টিকিট থাকে বলে জানা গেছে।
0 coment rios: