ডাঃ রোকসানা ইয়াসমিন রোকেয়া
ধুমপান বন্ধ করুন। ধূমপায়ীদের শুক্রাণু সংখ্যা অধূমপায়ীদের চেয়ে ২২% কম হয় । টাইট আণ্ডার ওয়্যার বা প্যান্ট ব্যবহার করবেন না ।ঢিলা জিনিস ব্যবহার করুন । এলকোহল খাওয়া বাদ দিন। এলকোহল বা মদ খেলে শরীরে Estrogen(নারী হরমোন) লেভেল বেড়ে যায়।প্রচুর পরিমানে পানি পান করুন। টুনা মাছ, মুরগি, লাল মাংস, কচি ছাগল বা ভেড়ার মাংস খান । এতে প্রচুর এমিনো এসিড থাকে যা testosterone(পুরুষ হরমোন) লেভেল বাড়িয়ে দেয় । বাদাম খান প্রতিদিন । বাদামে জিঙ্ক এবং এমিনো এসিড থাকে প্রচুর পরিমানে।গমের আটা এবং বার্লি জিঙ্ক সরবরাহ করে।জিঙ্ক বীর্য উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে । প্রচুর ঢেঁড়স এবং ব্রকলি খান । খুব কাজে দেয় । টমেটো, তরমুজ, পেয়ারা, লাল মরিচ এবং বাতাবি লেবু(জাম্বুরা) প্রচুর পরিমানে খান । এতে লাইকোপিন নামের এনজাইম থাকে যা বীর্যের পরিমান এবং ঘনত্ব বৃদ্ধি করে।নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খেলে এমনিতেই পুরুষের বীর্য ঘন হয়ে থাকে। যেমন প্রতিদিন দুধ ও ডিম খাবেন।প্রতিদিন নিয়ম করে কয়েক কোয়া কাঁচা রসুন খেলে ভালো ফল পাবেন। রাতে শুবার সময় ইসুপগুলের ভুসি পানি দিয়ে খাবেন।মধু ও খেজুর খেতে পারেন।
জটিলতা:একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে- যে সব পুরুষের বীর্যের ঘনত্ব কমছে ও নারীদের সাদা স্রাবের সমস্যা আছে, তাঁদের ডায়াবেটিস, অস্টিওপোরেসিস, হাড় ভেঙে যাওয়ার মতো রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এছাড়া পাতলা বীর্য বন্ধ্যাত্বের সম্ভবনা বাড়িয়ে দেয়।
মাথা ব্যথা, কমর ব্যথা, হাটু ব্যথা, পেট ব্যথা হয়।দৃষ্টি শক্তি কমে যায়, চুল পড়ে যায়।
প্রকৃত শক্তিশালী পুরুষ নারী হতে চাইলে, রোগ মুক্ত জীবন চাইলে হস্তমৈথুন ছেড়ে দেন। আল্লাহ কে ভয় করুন।শয়তানে পাল্লায় যারা এমন করছেন, এই পথ হতে ফিরে আশার উপায়, হস্তমৈথুন বন্ধ রাখুন।।
আর হস্তমৈথুনের ঘাটতি পূরন, শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি, যৌন স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য, বীর্য ঘন করার জন্য, বীর্যে শুক্রানো বৃদ্ধির জন্য, লিঙ্গ শক্ত ও মজবুত করার জন্য, দ্রুত বীর্যপাত রোধ করার জন্য, সপ্নদোষের ঘাটতি পূরনের জন্য ঘরোয়া উপায়ঃ-প্রতিদিন সকাল ও বিকালে ৫-৭ টি করে যে কোন খেজুর ও কিসমিস খান।সম্ভব হলে দৈনিক ১ টি সিদ্ধ ডিম খান। বা ৭ দিনে ২/৩ টি ডিম খান।দৈনিক ১/২ টি যে কোন পাকা কলা খান।১-২ চামিচ করে খাঁটি মধু খান। ১/২ মোট বুট ভেজানো ছোলা বুট খেতে পারেন।।
সম্ভব হলে প্রতিদিন ১ গ্লাস দুধ বা সপ্তাহে ১-২ গ্লাস দুধ খান।ছাগলের দুধ হলে বেশী উপকার পাবেন। প্রতিদিন ২/৩ খোয়া কাচাঁ রসুন খান।(সাথে প্রচুর পরিমাণ পানি, শাক সবজি, আঁশযুক্ত ফল ওমধু,দুধ, আপেল, চেরি, বাধাঁকপি,রসুন, ডিম, কলা,,কাঠবাদাম টক ফল মালটা কমলা, জাম্বুড়া,, পালংশাক, আঙুর, ডালিম. মাংস,দেশে মুরগীর মাংস,বিট. ব্রকোলি ইত্যাদি খাবার গুলোও খাবেন
অন্তত ৩-৬ মাস চালু রাখতে হবে। যাদের সমস্যা বেশি তারা ১ বছর প্লাস খাবেন নিচের উপদেশ গুলো মেনে। সাথে খেতে হবে মেডিসিন, মেডিসিন লাগলে সমস্যার কথা বলে মেসেন্জারে একটি মেসেস করলে ইনশাআল্লাহ মেডিসিন লেখে দিবো।
খুব ভালো করে উপদেশ গুলো মেনে চলার চেষ্টা করুন। কেননা আপনার ভবিষ্যৎ আছে, সংসার আছে, আছে আত্মমর্যাদা।। তাই নিজেকে ও নিজের চরিত্রকে সংশোধন ও নিয়ন্ত্রণ রাখা জরুরি।। নিচের বিষয় গুলো কঠোর ভাবে মেনে চলুনঃ- পর্নোগ্রাফি দেখা, হস্তমৈথুন করা বর্জন করুন। এটা বাধ্যতামূলক।বিচানা/ কোল বালিশের সাথে ঘষাঘষি বন্ধ করুন। দৈনিক ১২/১৪ গ্লাস পানি পান করুন। সৃষ্টিকর্তার কথা স্মরণ করুন।নিজ ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলুন। খারাপ কাজে ধাবিত করে এমন বন্ধু পরিহার করুন। সৃষ্টি কর্তার কাছে সাহায্য চান। ধর্মীয় বই পড়েন দৈনিক ৩০-৪০ মি হাঁটুন।। সিজেনাল ফলমূল ও সবুজ শাকসবজি বেশি করে খান। সর্বদা পজেটিভ চিন্তা করুন।
মুএ জনিত সমস্যা,ঘন ঘন প্রস্রাব, কিডিনিতে পাথর, কিডনির সমস্যা,হজম শক্তিকম, পাইলস,আলচার, আমাশয়, ডায়াবেটিস হলে চিকিৎসা করুন আগে।
ডায়াবেটিসে : ডায়াবেটিস রোগের প্রকোপ দিনকে দিন বেড়েই চলছে। এই রোগে কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ বেশি খাওয়া চলবে না। যেমন বীট, আলু, মিষ্টিআলু বা রাঙাআলু, ওল, কচু, খামালু ইত্যাদি।
তবে তেলকুচা, করলা, মেথি শাক, কচি নিমপাতা, হেলেঞ্চা শাক এ রোগের মহৌষধ। ডায়াবেটিস রোগে সাদা বেগুন দারুণ উপকারী। এছাড়া কলার থোড়, মোচা, ঢেঁরস, ডুমুর, পালং শাক ইত্যাদিও উপকারী। কাঁচা রসুন রক্তে সুগারের পরিমাণ কমিয়ে আনতে সক্ষম।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে :পটাশিয়ামের রয়েছে রক্তচাপ কমানো বা নিয়ন্ত্রণের বিশেষ ক্ষমতা। তাই উচ্চ রক্তচাপ থাকলে পটাশিয়াম সমৃদ্ধ শাকসবজি যেমন আলু, কচু, ঢেঁরস, ঝিঙে, বীট, গাজর, মিষ্টিআলু বা রাঙাআলু, মটরশুঁটি, পালং শাক, বাঁধাকপি, নটেশাক ইত্যাদি নিয়মিত আহারের তালিকায় রাখুন। এছাড়া সজনে পাতা সেদ্ধ ভাতের সাথে খেলে দারুণ উপকার পাওয়া যায়। কাঁচা রসুনেরও উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে আনার ক্ষমতা রয়েছে। তাই নিয়মিত এক কোয়া করে কাঁচা রসুন ভাতের সাথে খেলে উপকার পাবেন।
চোখের সমস্যায় : ভিটামিন এ চোখের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চোখের রেটিনা ও রড গঠনের জন্য এই ভিটামিন খুবই প্রয়োজন। ভিটামিন এ-এর অভাব থাকলে দৃষ্টিশক্তি হ্রাস ও রাতকানা রোগ হয়। চোখের সমস্যা প্রতিরোধে শিশুদের প্রথম থেকেই ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ানো উচিত। গাজর, বাঁধাকপি, লেটুস, পালং শাক, টমেটো, নটে শাক, মেথি শাক, সরষে শাক, লাল শাক, সজনে ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে। এছাড়া দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোর জন্য বথুয়া এবং গিমা শাক দারুণ উপকারী।
অ্যাসিডিটির সমস্যায় : অ্যাসিডিটির সমস্যা এখন প্রতিটি ঘরে ঘরে। এর অন্যতম কারণ হলো নিয়ম না মেনে খাওয়া-দাওয়া করা এবং খাবার ঠিকমতো হজম না হওয়া। প্রতিদিনের আহারে কয়েকটি সবজি রাখলে অ্যাসিডিটির সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে। কলার থোড় খেলে হজম শক্তি বাড়বে। গিমা শাক, পুদিনা, চিচিঙা, পটল, কাঁকরোল ইত্যাদি সবজি খেলে অ্যাসিডিটি ও গ্যাসের প্রকোপ কমবে। অ্যাসিডিটি ও গ্যাসজনিত পেট ফাঁপায় সরষে শাক ও থানকুনি শাক বেশ কার্যকরী।
চর্মরোগে : চর্মরোগ হলো ত্বকসংক্রান্ত এমন এক সমস্যা যা নানান কারণে হতে পারে। তবে ত্বক পরিষ্কার ও রক্ত পরিশোধনের জন্য কিছু শাকসবজি বেশ উপকারে লাগে এবং চর্মরোগের আক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে। মেথি শাক, নুনিয়া শাক, নটে শাক, নিম পাতা, হেলেঞ্চা শাক, করলা, কাঁচা হলুদ ইত্যাদি খেলে চর্মরোগের বিরুদ্ধে দেহের ভেতরে একটা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে। খোসপাঁচড়া বা চুলকানি সারাতে নিমপাতা ভাজা, কাঁচা রসুন এবং হেলেঞ্চা শাক বেশ কার্যকরী
হার্ট_ভালো রাখতে যে খাবার গুলো খাবেন ঃ
খেজুর,ব্রকলি, গ্রীন টি, বেদানা,বেরি জাতীয় ফল,ডিম
পালংশাক, রসুন, ডার্ক চকলেট,আমলকি,হলুদ,লাল মরিচ,অলিভ অয়েল,শিম,কাঠবাদাম, হার্ট ভালো রাখে পুদিনা পাতা।
বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে শরীরে বিভিন্ন ব্যথা আঁকড়ে ধরে, তাই তিতা জাতিয় খাবার খান বেশীকরে,শরীরকে রাখুন বিষ মুক্ত। যেমন নিম পাতার রস, পাট শাক, সাজনশাক, কড়লা,লেবু, আমড়া, আমলকি, বরই কাচাঁ আম জাম্বুরা,কামরাঙা ইত্যাদি।ভিটামিন ঔষধকে না বলুন, ফলমুল শাক সবজি কে হ্যাঁ বলুন।
শ্বাস কষ্টের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে আদা যুক্ত চা, তাই আদা যুক্ত চা খাবেন।নিউমোনিয়া ভুগছেন বেশী বেশী কমলা খাবেন।কিডনিরপাথর দুরকরতে বেশী বেশীপাকাআম খাবেন।রুক্ষ ও শুষ্ক চুল নিয়মিত শশা খাবেন।জন্ডিসে ভুগছেন? নিয়মিত ডালিম খাবেন।
মুএ জনিত সমস্যা বেশী বেশী মিষ্টি কুমড়া খাবেন।
পাইলসের সমস্যা, নিয়মিত পাকা পেঁপে খাবেন।
ডায়াবেটিস চিরতরে দুর করতে নিয়মিত আ্যালোবেরার রস পান করুন। হাড় ক্ষয় জনিত সমস্যা, বেশী বেশী আঙ্গুর খাবেন।মুখের দুর্গন্ধ দুর করতে, বেশী বেশী কাঁচা পেয়ারা খাবেন।কৃমি জনিত সমস্যা, আনারস খাবেন।ডায়াবেটিসের সমস্যা, কালো জাম খাবেন।
শ্বাস প্রশ্বাস জনিত সমস্যা পেয়াজ খাবেন।
হরমন জনিত সমস্যা, নিয়মিত পাকা পেয়ারা খাবেন।আলোকিত হওন,আলো ছড়ান ।