বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৪

শিশু হাসপাতাল পরিচালনায়   আহবায়ক কমিটি গঠন

শিশু হাসপাতাল পরিচালনায় আহবায়ক কমিটি গঠন



ভবনা ডেস্কঃ 

খুলনা শিশু হাসপাতাল পরিচালনায় জেলা প্রশাসককে আহবায়ক করে সাত সদস্য বিশিষ্ট এ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়েছে। খুলনা শিশু ফাউন্ডেশনের গঠনতন্ত্রের ধারা ২২ অনুযায়ী নির্বাহী কাউন্সিলের মেয়াদ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এর ফলে গত ২৮ অক্টোবর এ কমিটির অনুমতি দিয়েছেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও বিভাগীয় কমিশনার মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফ।  

আহবায়ক কমিটির অন্যরা হলেন কোষাধ্যক্ষ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড বিভাগীয় কার্যালয় পরিচালককে মোঃ শাহীনুজ্জামান (উপ-সচিব), সদস্য খুলনা শিশু হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক,  সর্বশেষ কমিটি সদস্য মোঃ মুনীর আহমেদ, আজীবন সদস্য মোঃ তারিকুল ইসলাম জহির, এড. শেখ জাকিরুল ইসলাম ও এস এম নাজিম উদ্দিন পায়েল।

বুধবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৪

নির্বাচন পদ্ধতি সংস্কার প্রয়োজন-মির্জা ফখরুল

নির্বাচন পদ্ধতি সংস্কার প্রয়োজন-মির্জা ফখরুল

 


ভবনা ডেস্কঃ এখন খুব জটিল সময় যাচ্ছে, দেশ নিয়ে চক্রান্ত শেষ হয়নি’ বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পরিবর্তন-সংস্কার সঠিকভাবে না হলে রাষ্ট্রকে টিকিয়ে রাখা যাবে না। এসময় সকল সংস্কারের আগে নির্বাচন পদ্ধতি সংস্কার করা প্রয়োজন বলে জানান তিনি।

আজ বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে যোগ দেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা বিভিন্ন দলের নেতারা। নেতারা দাবি করেন, রাজনীতিবিদ ছাড়া দেশ পরিচালনা সম্ভব নয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, রাজনৈতিক সংগ্রাম কখনো শেষ হয় না, জনগণের অধিকার আদায়ে তারা সব সময় আন্দোলনে থাকে। আবেগের বশে কোনো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হয় না।

সুষ্ঠু নির্বাচনে অন্তর্র্বতী সরকারকে সময় দিতে হবে বলে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, অন্য সংস্কারের আগে দরকার নির্বাচনি সংস্কার।

বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ দেশটাকে এমনভাবে নষ্ট করেছে যে, রাতারাতি পরিবর্তন সম্ভব নয়। তাই অন্যপথে না হেঁটে অন্তর্র্বতী সরকারের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত সুষ্ঠু নির্বাচন।

ট্রাফিকে শিক্ষার্থীদের পার্টটাইম চাকরির সুযোগ

ট্রাফিকে শিক্ষার্থীদের পার্টটাইম চাকরির সুযোগ



 ভবনা ডেস্কঃ পার্ট টাইম হিসেবে শিক্ষার্থীরা চার ঘণ্টা করে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

আজ বুধবার (৩০ অক্টোবর) সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন তিনি।

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ছাত্রদের আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে এখন থেকেই প্রস্তুত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে এক হাজার যুবককে নিয়ে ট্রাফিক সচেতনতামূলক কোর্স করানো হয়েছে। ৭০০ ছাত্রকে নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে প্রাথমিকভাবে ৩০০ থেকে ৪০০ জন নেওয়া হবে।
 যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, সারাদেশে প্রায় ২৬ লাখ গ্রাজুয়েট বেকার রয়েছে। সবমিলিয়ে দেশে বেকারের সংখ্যা ১ কোটি ১৮ লাখ। আগামী ২ বছরে ৫ লাখ যুবকের কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নেবে সরকার। সেই সঙ্গে ৯ লাখ যুবককে ট্রেনিং দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
হজ্জের খরচ ঘোষণা গতবছরের থেকে খরচ কম

হজ্জের খরচ ঘোষণা গতবছরের থেকে খরচ কম



ভবনা ডেস্কঃ 

 গত বছরের চেয়ে এক লাখ ৯ হাজার ১৪৫ টাকা কমিয়ে আগামী বছরের হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার। ঘোষণা অনুযায়ী, সরকারিভাবে হজ পালনে দুইটি প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে সাশ্রয়ী প্যাকেজে খরচ হবে ৪ লাখ ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা।

আজ বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে প্যাকেজ ঘোষণা করেন ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেছেন, ১৪৪৬ হিজরি সনের ৯ জিলহজ (২০২৫ সালের ৫ জুন) চাঁদ দেখা সাপেক্ষে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। আগামী বছরের জন্য বাংলাদেশের হজযাত্রীর কোটা ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন।

সরকারিভাবে ঘোষিত দুটি হজ প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে— সাধারণ হজ প্যাকেজ-১, যার মূল্য ৪ লাখ ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা; আর সাধারণ হজ প্যাকেজ-২, যার মূল্য ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৬৮০ টাকা।

এছাড়া বেসরকারি মাধ্যমের সাধারণ হজ প্যাকেজের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৮৩ হাজার ১৫৬ টাকা। তবে বেসরকারি এজেন্সিগুলো সাধারণ হজ প্যাকেজ গ্রহণের পর একটি অতিরিক্ত বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারবে।

মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৪

রেলের টিকিট বিক্রিতে নতুন নিয়ম

রেলের টিকিট বিক্রিতে নতুন নিয়ম

 


ভবনা ডেস্ক: রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, রেলওয়ে থেকে মৌখিকভাবে ট্রেনের টিকিট ব্লক করে রাখা হয়। এখন থেকে মৌখিক বা টেলিফোনে টিকিট বিতরণ বন্ধ হয়ে যাবে। আবার বিভিন্ন স্টেশন থেকেও টিকিট বরাদ্দ আছে। এখন সেটা এক স্টেশনে বিক্রি না হলে অন্য স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে।


মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর রেল ভবনে বাংলাদেশ রেলওয়ের রুট রেশনালাইজেশন এবং ই-টিকেটিং ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।


ফাওজুল কবির খান বলেন, রেলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাই রেলের টিকিট ব্লক করে রাখেন। রেলের টিকিট নিয়ে দুর্ভোগের কারণ তারাই। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


এই কালোবাজারি বন্ধে রেলের এক অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কালোবাজারি শিগগিরই বন্ধ করা হবে।


ট্রেনের অনলাইন টিকিট পদ্ধতিতে কিছু পরিবর্তন আন হচ্ছে জানিয়ে রেল উপদেষ্টা বলেন, আজকে একটা প্রেজেন্টেশন হয়েছে। সেখানে আমরা অনেক কিছু পেয়েছি।


রেলের টিকিট পদ্ধতি নিয়ে একটা ডায়াগনস্টিক হয়েছে। প্রেজেন্টেশনে দেখা গেল, কমলাপুর থেকে টিকিট চাইলেন সেখানে নেই। কিন্তু তেজগাঁও থেকে আছে। আবার ৭টার ট্রেনে টিকিট নাই, কিন্তু ১০টার ট্রেনে আছে। তবে সেটির কী অবস্থা তা জানা যাচ্ছ না।


রেলওয়ের অনলাইন টিকিট পদ্ধতির সহযোগী সহজকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, যাত্রী যেন এখন থেকে এটা দেখতে পান- কখন, কোথায় কোন স্টেশন থেকে টিকিট আছে। সহজ বলেছে, আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে এটা ঠিক হবে। না হলে আপনারা অভিযোগ করবেন।


সংবাদ সম্মেলনে রেলের রুট রেশনালাইজেশন করা হবে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, যেখানে যাত্রী নাই সেখানে ট্রেন যাচ্ছে। আবার যেখানে যাত্রী আছে সেখানে ট্রেন নাই। প্রবাসীরা যেসব জায়গায় যায় যেমন ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-চট্টগ্রাম এসব রুটে আলাদা ব্যবস্থা নেব। 


তিনি বলেন, রেলের প্রকল্পগুলো নিয়ে রিভিউ চলছে। অনেক প্রকল্প আগে হয়েছে যেগুলো কম গুরুত্বপূর্ণ। সামনে রেলের প্রকল্প নিয়ে আমরা আরো বেশি সতর্ক থাকব। আমরা সামনে এ নিয়ে বসব। কোন প্রকল্প কেন বাদ দেওয়া হয়েছে সেটা আমরা জানাব।


রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে আন্তনগর ট্রেনের প্রতিদিন এক লাখ ২৫ হাজার টিকিট থাকে। এ ছাড়া লোকাল, কমিউটার এবং এক্সপ্রেস ট্রেনে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টিকিট থাকে বলে জানা গেছে।

লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া

লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া

 


ভবনা ডেস্ক: শিগগিরই চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের লন্ডনে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। সেখানকার কয়েকটি হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বিএনপি।

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘লন্ডনে তীব্র শীত পড়ার আগেই আমরা বেগম জিয়াকে সেখানে নিতে চাই। এ জন্য বিশেষায়িত এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দরকার। সেই এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করার চেষ্টা চলছে।’


গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। পরের দিন ৬ আগস্ট খালেদা জিয়াকে নির্বাহী আদেশে মুক্তি দেওয়া হয়। দুর্নীতির দুই মামলায় তাকে কারাদণ্ড দিয়েছিলেন আদালত। এ কারাদণ্ডের পর তিনি দুই বছরের বেশি কারাবন্দি ছিলেন। পরে সরকারি আদেশে বারবার তার কারামুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়।


৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, হৃদ্‌রোগ, ফুসফুস, কিডনি জটিলতা, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয় গত বছরের ২৭ অক্টোবর। যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনে খালেদা জিয়ার রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। এ ছাড়া তাকে একাধিকবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে।

সোমবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৪

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে থাকা মামলা প্রত্যাহার চান সেলিমা রহমান

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে থাকা মামলা প্রত্যাহার চান সেলিমা রহমান

 

ভবনা ডেস্কঃ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে থাকা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান। আজ রোববার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবে শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হকের ১৫১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠানে এ দাবি করেন তিনি।

সেলিমা রহমান বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যিনি বাংলাদেশের প্রথম স্বাধীনতার ঘোষক। তিনি ঘোষণা না দিলে বাংলাদেশের আরও অনেক অনেক লোক মারা যেতেন। তিনি শুধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েই ক্ষান্ত হন নাই। তিনি নিজে মুক্তিযুদ্ধ করে তাঁর ব্যারাকে ফিরে গিয়েছিলেন। ব্যারাক থেকে তাঁকে আবার বাংলাদেশের মানুষ উঠিয়ে নিয়ে এসেছিল দেশের স্বাধীনতার সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য। যেটা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে বাংলাদেশকে আত্মমর্যাদাপূর্ণ দেশ হিসেবে বিশ্বে পরিচিত করেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ধুঁকে ধুঁকে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। তিনি যখন গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে এনেছিলেন! তারপর আবারও ষড়যন্ত্র হয়। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কিন্তু এখনো বিদেশে অবস্থান করছেন। কারণ, তাঁকেও মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে এখনো কিন্তু মামলা প্রত্যাহার হয়নি। কাজেই এই আলোচনা সভা থেকে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার চাই।’

শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হক সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে এ দেশের স্বাধীনতা মোমবাতিটা জ্বালিয়ে দিয়েছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সমাজ ও পৃথিবী চলে অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে। পাকিস্তান থেকে এ পর্যন্ত যত ঘটনা তার পেছনে শহীদ সোহরাওয়ার্দী, এ কে ফজলুল হক এবং মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর অবদান রয়েছে। এঁদের সম্পর্কে আমাদের নতুন প্রজন্মকে জানতে দেওয়া হয়নি।

‘আমাদের ইতিহাসে শের-ই-বাংলার নাম সবার প্রথমে থাকা উচিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, নীতির ব্যাপারে তিনি আপসহীন ছিলেন। আমরা যদি সেই নীতি অনুসরণ করতে পারতাম। তাহলে আজকে যে ৫ আগস্ট, ৩৬ জুলাই যেটাকে বলেন, সেই দিনটি আসত না। এত মানুষের বুকের রক্ত ঝরতো না, এত শোষিত মানুষের কান্না সেদিন শোনা যেত না। কারণ, আমরা লড়েছিলাম একটা অসহ্য বঞ্চনা, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে। 

‘আমরা এখন একটা কঠিন সময়ে ক্রান্তিলগ্নে আছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা স্বস্তিতে নাই। কারণ, এখনো স্বৈরাচারের দোসরেরা আমাদের বিভিন্ন জায়গায় অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করছে। তারা বিভিন্নভাবে চক্রান্ত করছে। এখনো যে বিশৃঙ্খলা আছে, বাংলাদেশের দামাল ছেলেরা সেটি রুখে দিতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

‘গত ১৫ বছর কারাগারের দরজার ঘুরতে হয়েছে, অনেকে গুম হয়েছে, খুন হয়েছে, অত্যাচারিত হয়েছে, নিপৃষ্ট হয়েছে এবং সাধারণ জনগণ পর্যন্ত গুম, খুন হয়েছে। তাদের যে স্বপ্ন, শহীদদের স্বপ্ন সার্থক করতে আমাদের সকলকে একত্রে কাজ করতে হবে’ বলেও জানান তিনি। 

এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হক যদি লাহোর প্রস্তাব না করতেন, তাহলে পাকিস্তান সৃষ্টি হতো না। যার ফলে পরবর্তীকালে মুক্তিযুদ্ধে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। জাতি বিনির্মাণে কোনো একজন নয়, বরং অনেকের ভূমিকা থাকে।’ 

তিনি আরও বলেন, এ দেশের জনগণ যাতে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হয়। সেই জন্য কাজ করে গেছেন শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হক কাজ করে গেছেন।

শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হক ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও বিএনপির উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য এ এস এম আব্দুল হালিম, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফরিদা ইয়াসমিন প্রমুখ। এ সময় ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ১৩ ব্যক্তিকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়।

 নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি: পাইকারিতেই হাতবদল হয় যেভাবে

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি: পাইকারিতেই হাতবদল হয় যেভাবে

 


ভবনা ডেস্কঃ

গত শনিবার বেলা ৩টায় পুরান ঢাকার বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র মৌলভীবাজারের গোলবদন মার্কেটের দৃশ্য। একজন তেল ও চিনির পরিবেশকের দোকানে বসে এর মালিকের সঙ্গে এ প্রতিবেদকের কথা হচ্ছিল। এ সময় পাঞ্জাবি পরা বয়স্ক এক ব্যক্তি এসে ‘৯৫ দামে’ ২১ গাড়ি মাল দেওয়ার অনুরোধ করলেন ওই ব্যবসায়ীকে। কিন্তু দোকানমালিক প্রস্তাব দিলেন ‘৯৮ দামে’ ৫ গাড়ি দিতে। ক্রেতা অনেক অনুরোধ করে ১১ গাড়ি দিতে রাজি করালেন তাঁকে।

গত শনিবার বেলা ৩টায় পুরান ঢাকার বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র মৌলভীবাজারের গোলবদন মার্কেটের দৃশ্য। একজন তেল ও চিনির পরিবেশকের দোকানে বসে এর মালিকের সঙ্গে এ প্রতিবেদকের কথা হচ্ছিল। এ সময় পাঞ্জাবি পরা বয়স্ক এক ব্যক্তি এসে ‘৯৫ দামে’ ২১ গাড়ি মাল দেওয়ার অনুরোধ করলেন ওই ব্যবসায়ীকে। কিন্তু দোকানমালিক প্রস্তাব দিলেন ‘৯৮ দামে’ ৫ গাড়ি দিতে। ক্রেতা অনেক অনুরোধ করে ১১ গাড়ি দিতে রাজি করালেন তাঁকে। 

স্পষ্টতই কথা চলছিল সাংকেতিক ভাষায়। ৯৫ দাম বা গাড়ির সংখ্যার মতো কথা থেকে বাইরের কারও পক্ষেই নিশ্চিতভাবে বোঝা সম্ভব নয়—পুরো বিষয়টা কী। এ প্রতিবেদক দেখলেন কথা পাকা হয়ে গেলে চলে এল বস্তায় ভরে মোটা অঙ্কের টাকা। দুপুরের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এভাবে পাইকারি পণ্যের হাতবদল হয় মৌলভীবাজারে। অনেক সময় কয়েক হাত পর্যন্ত ঘোরে তেল, চিনি বা এ রকম জরুরি নিত্যপণ্য। তেল ও চিনির পরিবেশক জানালেন, এক গাড়িতে ৫০ কেজি ওজনের ৩২০ বস্তা চিনি ধরে। আর ভোজ্যতেলের ক্ষেত্রে এক গাড়িতে হয় ৩০ বা ৪৫ ড্রাম।  

একটি আমদানিকারক/মিলার গ্রুপের পক্ষ থেকে গত ৭ আগস্ট মৌলভীবাজারের একটি প্রতিষ্ঠানের নামে ৫০ কেজি ওজনের ৬০ বস্তা 

চিনির একটি বিক্রয় আদেশ ছাড়া হয়। এতে ২২ আগস্ট পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে সেই বিক্রয় আদেশে চিনির দাম লেখা নেই। এর সুযোগ নেন মিলার ও পরিবেশক উভয়ে। 

চিনি ও ভোজ্যতেলের মিলমালিক বা আমদানিকারকেরা আমদানির ঋণপত্র (এলসি) খোলার আগেই পরিবেশকদের কাছে পণ্য বিক্রি করে থাকেন। দাম নিয়ে পরিবেশক ও মিলমালিকদের সমঝোতা হওয়ার পর পে-অর্ডারের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধ করা হয়। বিক্রীত পণ্যের পরিমাণ চূড়ান্ত হলে তার বিক্রয় আদেশ (এসও) ইস্যু করা হয়। এই আদেশ ইস্যু হওয়ার পর থেকেই পরিবেশকেরা তা হাতবদল করতে থাকেন। কোনো কোনো বিক্রয় আদেশ দুই মাস থেকে এক বছর পর্যন্তও বহাল রাখা হয়।  

১৯৫৬ সালের অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইনের আলোকে সরকারের ২০১১ সালের ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণন ও পরিবেশক নিয়োগ আদেশ’-এ সরবরাহ আদেশ সম্পর্কে বলা হয়েছে, এটি কোনো অবস্থাতেই হস্তান্তরযোগ্য নয়। এ ছাড়া সরবরাহ আদেশের মেয়াদ সর্বোচ্চ ১৫ দিন হবে। কোনো অবস্থাতেই মেয়াদ বাড়ানো যাবে না। নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা ছিল ২০১১ সালের আদেশটির লক্ষ্য। এর ১১ নম্বর বিধিতে বলা হয়েছে, উৎপাদক, পরিবেশক বা আমদানিকারক অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের মিলগেট, পাইকারি ও খুচরা বিক্রয়মূল্য ন্যায়সংগতভাবে নির্ধারণ করবে। জাতীয় কমিটি উৎপাদক, পরিবেশক ও ব্যবসায়ী সমিতির সহযোগিতায় অভিন্ন মূল্যপদ্ধতি নির্ধারণ করবে।

কিন্তু সরকারের অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণন ও পরিবেশক নিয়োগ আদেশের নির্দেশনা কেউ মানছে না বললেই চলে। মিলমালিক ও পরিবেশকেরা অহরহ নিয়ম লঙ্ঘন করে পণ্যের ‘স্লিপ’ হাতবদল করছেন। সরকারি আদেশ মেনে চলা নিশ্চিত করতে একটি জাতীয় তদারকি সেল ও চারটি কমিটি থাকলেও সেগুলো কার্যকর ভূমিকা রাখছে না। 

প্রথা চলে আসছে যুগের পর যুগ 
মৌলভীবাজারের তেল ও চিনির পাইকারি ব্যবসায়ী আনোয়ার হাবীব আজকের পত্রিকার প্রশ্নের জবাবে বলেন, যুগ যুগ ধরে বংশপরম্পরায় তেল-চিনিসহ নিত্যপণ্যের ব্যবসা চলে আসছে এখানে। পুরোনো প্রথা ভেঙে সরকার নতুন আদেশ জারি করলেও তা কখনো কার্যকর করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। 

দেশে তেল ও চিনির প্রধান আমদানিকারকদের মধ্যে রয়েছে সিটি, মেঘনা, এস আলম বা দেশবন্ধু গ্রুপের মতো বড় ব্যবসায়ী গ্রুপগুলো। এরা ঋণপত্র খোলার আগেই অগ্রিম বিক্রয় আদেশ বাজারে ছেড়ে দেয়। পরিবেশকেরাও এই সুযোগে হাতবদল করতে থাকে। এভাবে হাতবদল হতে হতে পণ্য মিল থেকে বের হওয়ার সময় এলে দাম অনেকটাই বেড়ে যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেঘনা গ্রুপের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, তাঁদের ভোগ্যপণ্যের নির্ধারিত ডিলার আছে। কিন্তু বাল্কপণ্য (বড় পরিমাণে) বিক্রির ক্ষেত্রে বিক্রয় আদেশ বাজারে অগ্রিম ছাড়েন। কর্মকর্তাটি বলেন, দেশে যুগ যুগ ধরে এভাবেই এ ব্যবসা চলে আসছে। তৎকালীন বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খানের সময়ে জারি করা পরিবেশক নিয়োগ আদেশের এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা কখনোই কার্যকর করা হয়নি। 

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে কাজ করা সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সাবেক সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, পাকিস্তান আমল থেকে পরস্পর যোগসাজশে এটি চলে আসছে। সরকারের এই আদেশ বাস্তবায়ন করা গেলে পণ্যের দামে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। সরকারি আদেশ এভাবে অমান্য করা অনৈতিক ও বেআইনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান (সচিব) মইনুল হক বলেন, সরকারের আদেশ বাস্তবায়নের জন্য এনফোর্সমেন্ট (আইন প্রয়োগ) দরকার। ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষ নিয়মিত বাজারে অভিযান চালাচ্ছে। ট্যারিফ কমিশন বিভিন্ন উৎস থেকে পণ্যের তথ্য সংগ্রহ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠাচ্ছে। তারা স্থানভেদে পণ্যের দামে অসংগতি পেয়েছে। মাঝপথে হাতবদল বন্ধ করতে তারা কাজ করছে।

দুঃস্বপ্ন দেখার পর করণীয়

দুঃস্বপ্ন দেখার পর করণীয়



মোঃ আবুল হাসান:

ঘুমের মধ্যে দুঃস্বপ্ন দেখে অনেকেই চমকে ওঠে। ভয় পেয়ে ঘাবড়ে যায়। ইসলাম যেহেতু পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা, তাই এ বিষয়েও রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘স্বপ্ন তিন প্রকার। এক. সত্য স্বপ্ন। দুই. মানব মনের চিন্তা-ভাবনা। অর্থাৎ যা চিন্তা করে, তাই দেখে। তিন. শয়তানের পক্ষ থেকে ভীতি প্রদর্শনমূলক দুঃস্বপ্ন। (জামে তিরমিজি)

স্বপ্ন সবসময় মিথ্যা ও বিভ্রমের হয় না। কখনো সত্যও হয়ে থাকে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যখন কেয়ামত ঘনিয়ে আসবে তখন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মুসলমানের স্বপ্ন সত্য হবে। তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে সত্যবাদী লোক সর্বাধিক সত্য স্বপ্নদ্রষ্টা হবে।’ (সহিহ মুসলিম) অনাকাক্সিক্ষত কোনো দুঃস্বপ্ন দেখে কেউ ঘুম থেকে জেগে উঠলে তার জন্য করণীয় কিছু কাজ উল্লেখ করা হলো।

বাম দিকে তিনবার থুথু ফেলা : হজরত আবু কাতাদা (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘ভালো স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে আর দুঃস্বপ্ন শয়তানের পক্ষ থেকে হয়। তোমাদের কেউ যদি দুঃস্বপ্ন দেখে, তবে সে যেন বামদিকে তিনবার থুথু নিক্ষেপ করে।’ (সহিহ মুসলিম)

আল্লাহর আশ্রয় চাওয়া : মহান আল্লাহর কাছে দুঃস্বপ্নের অনিষ্টতা থেকে আশ্রয় চাওয়া। যেন সেটার প্রভাব বাস্তব জীবনে না পড়ে। মহান আল্লাহর কাছে এই বিষয়ে আশ্রয় চাইলে আশা করা যায় তিনি দুঃস্বপ্নের অনিষ্টতা থেকে রক্ষা করবেন এবং মনের ভয় দূর করবেন।

প্রকাশ না করা : দুঃস্বপ্নের কথা কারও কাছে প্রকাশ না করা। হজরত আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ যদি পছন্দনীয় স্বপ্ন দেখে, তাহলে এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে। তাই সে যেন আল্লাহর প্রশংসা করে এবং অন্যের কাছে এ স্বপ্নের কথা বর্ণনা করে। আর যদি এর বিপরীত দুঃস্বপ্ন দেখে, তাহলে এটা শয়তানের পক্ষ থেকে। তাই সে যেন এর ক্ষতি থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চায়। আর কারও কাছে তা বর্ণনা না করে। তাহলে এ স্বপ্ন তার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।’ (সহিহ বুখারি)

নামাজ আদায় করা : হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ যদি দুঃস্বপ্ন দেখে, তবে সে যেন ঘুম থেকে উঠে দাঁড়ায় এবং নামাজ আদায় করে।’ (সহিহ মুসলিম)

পাশ ফিরে ঘুমানো : রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ যদি দুঃস্বপ্ন দেখে, তবে সে যেন তার পার্শ্ব পরিবর্তন করে।’ (সহিহ মুসলিম)

দুঃস্বপ্ন দেখার পর না ঘাবড়ানো : হজরত জাবের (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) একদিন খুৎবা দিচ্ছিলেন। এ সময় এক ব্যক্তি এসে বলল, হে আল্লাহর রাসুল, ঘুমন্ত ব্যক্তি যা স্বপ্ন দেখে, আমি গতরাতে তাই স্বপ্নে দেখলাম। ঘাড়ে আঘাত করার ফলে তা থেকে আমার মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ল। আমি পুনরায় ধরে সেটা ঘাড়ে স্থাপন করে দিলাম। রাসুলুল্লাহ (সা.) তখন বললেন, ঘুমের ঘোরে তোমাদের কারও সঙ্গে শয়তান খেলা করলে সে যেন তা কারও কাছে না বলে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ) দুঃস্বপ্ন দেখার পর ঘাবড়ে না গিয়ে হাদিসে বর্ণিত দিকনির্দেশনার ওপর আমল করা সব মুসলমানের একান্ত কর্তব্য।

শনিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৪

খুলনায় ২৫নং ওয়ার্ড বিএনপির দ্বি বার্ষিক সম্মেলন

খুলনায় ২৫নং ওয়ার্ড বিএনপির দ্বি বার্ষিক সম্মেলন

 


মোঃ আবুল হাসানঃ

খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা বলেছেন, যারা ১৭ বছর লুটপাট করেছে, অত্যাচার করেছে, মানুষ গুম-খুন করেছে তারা এখনো দেশ ছেড়ে যায়নি। আমাদের যে সংগ্রাম ছিলো ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ সে সংগ্রাম এখনো শেষ হয়নি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন আমাদের আরো পথ পাড়ি দিতে হবে, আরো লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার অর্ন্তগত ২৫নং ওয়ার্ড বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ইলিয়াছ আলী-চৌধুরী আলমসহ ৫’শ এর বেশি বিএনপি নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। অনেক শিশু জানে না তার পিতা বেচে আছে না মরে গেছে। মা জানেন না তার সন্তান বেচে আছে না মরে গেছে। স্ত্রী জানেন না-তার স্বামী বেচে আছে নাকি মরে গেছে। বাংলাদেশে প্রকাশ্যে দিবালোকে বিশ্বজিৎকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। যারা হত্যা করেছে তাদেরকে আদালত থেকে খালাস দেয়া হয়েছে। সাবেক সেনা প্রধান আজিজের খুনি ভাইদের ফাঁসির আদেশ হয়েছিলো কিন্তু তৎকালিন রাষ্ট্রপতি তাদের ক্ষমা করে জেলখানা থেকে বের করে দিয়েছিলো। বাংলাদেশে এমন কোন প্রতিষ্ঠান নেই যা আওয়ামী লীগ ধ্বংস করে নাই। প্রশাসনকে ধ্বংস করেছে, পুলিশ বাহিনীকে ধ্বংস করেছে, আদালতকে ধ্বংস করেছে। আমাদের নামে অসংখ্য মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। মাফিয়া নেত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ধরে এনে তার বিচার করতে হবে।

সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন। বিএনপি নেতা একরামুল কবির মিল্টনের সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন থানা বিএনপির আহবায়ক হাফিজুর রহমান মনি। বিশেষ অতিথি ছিলেন মাহবুব হাসান পিয়ারু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, শেখ সাদী। বক্তা ছিলেন সাজ্জাদ আহসান পরাগ। বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, সাঈদ হাসান লাভলু, মাসুদ আলম শামীম, কাজী সাইফুল ইসলাম সোহেল, আলম হাওলাদার, সামছুননাহার লিপি, নাসরিন হক শ্রাবনী, এড. কামরুন নাহার হেনা, সবুজুল ইসলাম সবুজ, আনোয়ার হোসেন আনো, গিয়াস উদ্দিন মিঠু, সিরাজুল ইসলাম হিরা, সজল শিকদার, ইয়াছিন আরাফাত ডালিম প্রমূখ। সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে কাউন্সিলরদের ভোটে কাজী নজরুল ইসলাম সভাপতি, আহসান হাবিব বাবু সিনিয়র সহ-সভাপতি, কামরুজ্জামান রুনু সাধারণ সম্পাদক ও আলী আফজালকে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত ঘোষনা করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক বেগম রেহানা ঈসা।

বাগেরহাটের শ্রমিক দলের সমাবেশ

বাগেরহাটের শ্রমিক দলের সমাবেশ

 

ভবনা ডেস্কঃ 

জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেছেন, খাল কাটা কর্মসূচিতে গিয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বলেছিলেন আমি একজন শ্রমিক। বেগম খালেদা জিয়া শ্রমিকের স্ত্রী হিসেবে গর্ববোধ করেছেন। এই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফলে দেশ স্বাধীন হয়েছে, এই আন্দোলনে শ্রমিকরা প্রাণ দেয়নি। শতাধিক শ্রমিকের হত্যার বিনিময়ে আজকের এই স্বাধীনতা। এত বড় আন্দোলন হইল, এর পেছনে দেশ নায়ক তারেক রহমান ছিলেন। শুধু এই আন্দোলন নয় ভাষা আন্দোলনেও শ্রমিকদের অবদান ছিল। সেই শ্রমিকদের নিয়ে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল। এই দল একটি সুশৃঙ্খলতি সংগঠন। এখানে কোন কোন্দল চলবে না। দল ও রাষ্ট্রের স্বার্থে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে বাগেরহাট জেলা জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফার পক্ষে জনমতগঠনের লক্ষ্যে শহরের জেলা পরিষদের অডিটরিয়ামে জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি সরদার আতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির আহবায়ক এ.টি.এম আকরাম হোসেন তালিম, সদস্য সচিব মোজাফ্ফর রহমান আলম, শ্রমিক দল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক সুমন ভুইয়া, বাগেরহাট জেলাশ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি সরদার লিয়াকত আলী।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন শ্রমিক দল নেতা, হায়দার আলী, সাইফুল ইসলাম, যুগ্ম তাপষ কুমার রায়, মো মোজাম, আনিসুজ্জামান, ফিরোজ তালুকদার প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বর্তমান পরিস্থিতিতে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে দল ও মানুষের জন্য কাজ করার আহবান জানান। সেই সাথে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সকল নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ করেন।

মরহুম গাজী এনায়েত হোসেনের মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া অনুষ্ঠান

মরহুম গাজী এনায়েত হোসেনের মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া অনুষ্ঠান

 



মোঃ আবুল হাসানঃ
খুলনার বয়রাস্থ খানজাহান আলী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম আজাদ এর পিতা ডুমুরিয়া উপজেলার চেচুড়ি নিবাসী মরহুম আলহাজ্ব গাজী এনায়েত হোসেন এর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল (২৬শে অক্টোবর)শনিবার বিকাল চারটায় খানজাহান আলী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মহাবিদ্যালয়ের কনফারেন্স রুমে পবিত্র কুরআন শরীফ খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন খুলনার পশ্চিম বানিয়াখামার দারুল কুরআন বহুমুখী মাদ্রাসার সহকারী প্রধান শিক্ষক, বিশিষ্ট কলামিস্ট ও আলেমে দ্বীন মাওঃ মুহাঃ ফজলুর রহমান। দোয়া মুনাজাতের মাধ্যমে ইন্জিনিয়ার আবুল কালাম আজাদ এর পিতা মরহুম আলহাজ্ব গাজী এনায়েত হোসেন, বড় ভাই মরহুম আলহাজ্ব গাজী এম এ সালাম, ডাঃ সাঈদসহ সকল মৃত্যু ব্যক্তিদের রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয়। মরহুম আলহাজ্ব গাজী এনায়েত হোসেন গত ২০২০সালের ৭ই অক্টোবর ইন্তেকাল করেন। তিনি খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার চেচুড়ি আন্তর্জাতিক কারিগরি ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও খুলনার খানজাহান আলী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মহাবিদ্যালয়, খানজাহান আলী কৃষি কলেজ, খানজাহান আলী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট,বাগেরহাট সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টা ও মসজিদ, মাদ্রাসার একজন অন্যতম দাতা ছিলেন।

বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৪

খুলনা সহ ১৩ জেলার উপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড়

খুলনা সহ ১৩ জেলার উপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড়

 



ভবনা ডেস্ক: খুলনাসহ দেশের ১৩ জেলার ওপর দিয়ে রাতের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে। সেই সঙ্গে এসব জেলায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাত ১টা পর্যন্ত দেশের নদীবন্দরের জন্য দেয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।


আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানান, এই সময়ের মধ্যে খুলনা, রাজশাহী, পাবনা, ঢাকা, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার ওপর দিয়ে পূর্ব অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।


দেশের অন্যত্র একই দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর (পুনঃ) ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।


বর্তমানে প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। এই অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

ছাত্রলীগের বিবৃতি প্রচারও নিষিদ্ধ

ছাত্রলীগের বিবৃতি প্রচারও নিষিদ্ধ



 ভবনা ডেস্কঃ 

সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিবৃতি প্রকাশও এখন নিষিদ্ধ। সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯-এর ধারা ১৮(১)-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে গত বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।

সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ (২০০৯ সালের ১৬ নং আইন)-এর ২০-এর ১ ধারা অনুযায়ী, তালিকাভুক্ত ব্যক্তি বা নিষিদ্ধ সত্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সরকার। আইনে বলা হয়েছে, ২০-এর ১-এর ঙ ধারা মতে তালিকাভুক্ত ব্যক্তি বা নিষিদ্ধ সত্তার প্রেস বিবৃতির প্রকাশনা, মুদ্রণ বা প্রচারণা প্রদান নিষিদ্ধ করবে সরকার।

তালিকাভুক্ত ব্যক্তি বা নিষিদ্ধ সত্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ বিষয়ে ২০-এর ১ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তিকে ধারা ১৮-এর বিধান অনুসারে তালিকাভুক্ত করা হয় বা কোনো সত্তাকে নিষিদ্ধ করা হয়, তাহলে এই আইনে বর্ণিত অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ ছাড়াও সরকার প্রযোজ্য ক্ষেত্রে যেকোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

এর আগে, বুধবার (২৩ অক্টোবর) ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধ করে অন্তর্র্বতী সরকার।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, যেহেতু বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে বিশেষ করে বিগত ১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হত্যা, নির্যাতন, গণরুমকেন্দ্রিক নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নসহ নানাবিধ জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল এবং এতৎসম্পর্কিত প্রামাণ্য তথ্য দেশের সব প্রধান গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে এবং কিছু সন্ত্রাসী ঘটনায় সংগঠনটির নেতাকর্মীদের অপরাধ আদালতেও প্রমাণিত হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, যেহেতু ১৫ জুলাই থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ জনগণকে উন্মত্ত ও বেপরোয়া সশস্ত্র আক্রমণ করিয়া শত শত নিরপরাধ শিক্ষার্থী ও ব্যক্তিদের হত্যা করেছে এবং আরও অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন করেছে। যেহেতু সরকারের নিকট যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ আছে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক, ধ্বংসাত্মক ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যের সহিত জড়িত।

সেহেতু সরকার ‘সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯’ এর ধারা ১৮ এর উপ-ধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করিল এবং ওই আইনের তফসিল-২ এ ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’ নামীয় ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্তা হিসেবে তালিকাভুক্ত করল।

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২

 

ভবনা ডেস্কঃ 

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নির্ধারণ করে একটি অধ্যাদেশের খসড়ায় নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। এতে সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩২ বছর।

আজ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

এতে বলা হয়, সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন- ফাইন্যানসিয়াল কর্পোরেশনসহ স্ব-শাসিত সংস্থাসমূহে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ অধ্যাদেশ, ২০২৪'-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপদেষ্টা পরিষদ-বৈঠকে নিম্নরূপ আলোচনার মাধ্যমে উক্ত অধ্যাদেশটি অনুমোদন করা হয়েছে। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের সকল ক্যাডারের চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছসর নির্ধারিত হবে। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের আওতা বহির্ভূত সকল সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারিত হবে।

‘স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার ক্ষেত্রে স্ব স্ব নিয়োগ বিধিমালা প্রয়োজনীয় অভিযোজন- সাপেক্ষে প্রযোজ্য হবে। প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগসমূহ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্ষেত্রে স্ব স্ব নিয়োগ বিধিমালা বহাল থাকবে।’

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আরও জানিয়েছে, এ অধ্যাদেশের আলোকে ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮'-এর ধারা ৫৯-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ‘বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা, ২০১৪' পুনর্গঠনপূর্বক বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ তিন বার অবতীর্ণ হতে পারবে- এরূপ বিধি সংযোজন করবে।

বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৪

ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ

ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ

 


ভবনা ডেস্কঃ 

আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।আজ বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে।মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক শাখা-২ এর দেওয়া প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে বিশেষ করে গত ১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হত্যা, নির্যাতন, গণরুমকেন্দ্রিক নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নসহ নানা ধরনের জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল এবং এ সম্পর্কিত প্রামাণ্য তথ্য দেশের সব প্রধান গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এবং কিছু সন্ত্রাসী ঘটনায় সংগঠনটির নেতাকর্মীদের অপরাধ আদালতেও প্রমাণিত হয়েছে।

গত ১৫ জুলাই থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ জনগণকে উন্মত্ত ও বেপরোয়া সশস্ত্র আক্রমণ করে শতশত নিরপরাধ শিক্ষার্থী ও ব্যক্তিকে হত্যা করেছে এবং আরও অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন করেছে। সরকারের কাছে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ রয়েছে যে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক, ধ্বংসাত্মক ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কাজে জড়িত আছে।এই অবস্থায় সরকার 'সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯' এর ধারা ১৮ এর উপ-ধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন 'বাংলাদেশ ছাত্রলীগ'কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল এবং ওই আইনের তফসিল-২ এ 'বাংলাদেশ ছাত্রলীগ' নামীয় ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্ত্বা হিসেবে তালিকাভুক্ত করল বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও জানানো হয়।

মাজলিসুল মুফাসসিরীন ফকিরহাট উপজেলা কমিটি সম্পন্ন

মাজলিসুল মুফাসসিরীন ফকিরহাট উপজেলা কমিটি সম্পন্ন

 

ভবনা ডেস্কঃ বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরীন ফকিরহাট উপজেলার কমিটি সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল (২৩শে অক্টোবর) বুধবার বিকাল সাড়ে চারটায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ফকিরহাট উপজেলা কার্যালয়ে বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরীনের বাগেরহাট জেলা সভাপতি মাওঃ রুহুল আমীন খানের সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি মাওঃ শরিফুল ইসলাম নোমানীর পরিচালনায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর জনাব এবিএম তৈয়াবুর রহমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জনাব আবুল আলা মাসুম।


সভায় ফকিরহাট অঞ্চলের বিশিষ্ট মুফাসসির,তরুণ বক্তা মাওঃ নাজমুল ইসলাম সভাপতি ও মাওঃ আব্বাস আলী সেক্রেটারীসহ ২০সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। নব গঠিত কমিটিতে অন্যান্যরা হলো সহ সভাপতি মাওঃ নাসির উদ্দিন,সহ সেক্রেটারি মাওঃ এম আব্দুল্লাহ,অর্থ সম্পাদক মাওঃ মেহেদী হাসান, অফিস সম্পাদক মাওঃ মুহাঃ ফজলুর রহমান, প্রচার সম্পাদক মাওঃ মনোয়ার হুসাইন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাওঃবিলাল হুসাইন,সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মাওঃ মোস্তাকিম বিল্লাহ, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, প্রকাশনা সম্পাদক মাওঃ আল আমিন, সদস্য মাওঃ মঈন উদ্দিন, মাওঃ আলী আকবর, মাওঃ আমীর হামজা, মাওঃ শহীদুল্লাহ, মাওঃ গাজী আব্দুর রহিম, মাওঃ মেহেদী হাসান, মাওঃ জসিম উদ্দিন, মাওঃ আব্দুল্লাহ।

মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৪

যা দেখে অবাক ও বিস্মিত হলেন আমীরে জামায়াত

যা দেখে অবাক ও বিস্মিত হলেন আমীরে জামায়াত

 


অনলাইন ডেস্কঃ আমীরে জামায়াত ডঃ শফিকুর রহমান বলেছেন-সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ বিষয়ে মানব জমিন পত্রিকার রিপোর্ট দেখে আমি দারুনভাবে অবাক ও বিস্মিত হয়েছি।গত ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সাথে তিন বাহিনী প্রধানদের উপস্থিতিতে রাজনৈতিক দলসমূহের নেতৃবৃন্দ ও সুশীল সমাজের কতিপয় ব্যক্তিবর্গের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ঐ দিন দুপুরে তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগ করে পার্শ্ববর্তী দেশে চলে যান। ঐ গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে রাষ্ট্রপতির কাছে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃবৃন্দ জানতে চান, শেখ হাসিনা তার কাছে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন কিনা। জবাবে প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমি পদত্যাগ পত্র পেয়েছি” আবার প্রশ্ন করা হয় যে, আপনি তার পদত্যাগ পত্র মঞ্জুর করেছেন কিনা? জবাবে তিনি বলেছেন “হ্যা আমি পদত্যাগ পত্র মঞ্জুর করেছি”। 


ঐ দিনের বৈঠকে রাষ্ট্রপতির মিলিটারি সেক্রেটারিসহ বঙ্গভবনের সিনিয়র কর্মকর্তাবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন। ৫ আগস্টের ঐ মিটিং এর পর রাত ১১:২০ মিনিটে জাতির উদ্দেশে ভাষণে একই কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি স্পষ্ট করেছেন যে, তিনি শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র পেয়েছেন এবং তা মঞ্জুর করেছেন। 


মানব জমিনের প্রধান সম্পাদক জনাব মতিউর রহমান চৌধুরীর সাথে সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি যা বলেছেন তাতে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি হওয়ার যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে। তার ৫ আগস্টের বক্তব্য এবং ১৯ অক্টোবরের সাক্ষাৎকারটি স্পষ্টত স্ববিরোধী। যদি তিনি জনাব মতিউর রহমান চৌধুরীর সাথে সাক্ষাৎকার দিয়ে থাকেন এবং উল্লেখিত কথাটি বলে থাকেন, তাহলে রাষ্ট্রপতি ৫ই আগস্টের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সামনে বক্তব্য দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছেন। এর মাধ্যমে স্পষ্টত তিনি তার শপথ ভঙ্গ করেছেন। ফলে তিনি রাষ্ট্রের এই মহান দায়িত্বে থাকার নৈতিক ও আইনগত অধিকার হারিয়েছেন। 

রাষ্ট্রপতিকে অনতিবিলম্বে তার অবস্থান স্পষ্ট করে জনমনে সৃষ্ট বিভ্রান্তি দূর করার আহবান জানাচ্ছি।

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবি বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবি বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের


 ভবনা ডেস্কঃ রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ, সংবিধান সংশোধন, বিগত তিনটি সংসদ নির্বাচন অবৈধ ঘোষণা, ছাত্রলীগ নিষিদ্ধসহ মোট পাঁচ দফা নতুন দাবি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।


মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকেল সোয়া পাঁচটায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

একইসঙ্গে অবিলম্বে এসব দাবি মেনে নেওয়া না হলে শিগগিরই রাজপথে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

পাঁচ দফা দাবিগুলো হলো
১. অনতিবিলম্বে ৭২ এর সংবিধান বাতিল করতে হবে। সে জায়গায় ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের পক্ষ থেকে নতুন করে সংবিধান লিখতে হবে।

২. এই সপ্তাহের মধ্যে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে চিহ্নিত করে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। তাদেরকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করতে হবে।

৩. এই সপ্তাহের মধ্যে বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দীনকে পদচ্যুত করতে হবে।

৪. জুলাই বিপ্লব ও গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিটের আলোকে ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই সপ্তাহের মধ্যে নতুন করে রূপরেখা প্রণয়ন করতে হবে।

৫. ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণা করতে হবে। এসব নির্বাচনে যারা নির্বাচিত হয়েছিল তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে হবে। একই সাথে তারা যেন ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশে কোনোভাবেই প্রাসঙ্গিক হতে না পারে ও নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সেজন্য আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।
হজ প্যাকেজ ঘোষণা ৩০ অক্টোবর।

হজ প্যাকেজ ঘোষণা ৩০ অক্টোবর।

 


ভবনা ডেস্কঃ আগামী বছরের হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে ৩০ অক্টোবর। ওইদিন হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির সভায় প্যাকেজ চূড়ান্ত হবে। মঙ্গলবার সচিবালয়ে হজযাত্রী পরিবহনে বিমান ভাড়া নির্ধারণ সংক্রান্ত সভা শেষে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন গণমাধ্যমকে এ কথা জানান।

বৈঠকে বিমান ভাড়া নির্ধারণ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, বিমান ভাড়া নির্ধারণের ক্ষেত্রে এখনো একটু বিবেচনার বিষয় রয়েছে। তাই এখনো আমরা চূড়ান্তভাবে বলতে পারবো না।

উপদেষ্টা বলেন, এ মাসের ৩০ তারিখ আমরা প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারবো।

অন্য বছরের মতো এবারও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদিয়া এয়ারলাইন্স ও ফ্লাই নাস হজযাত্রী পরিবহন করবে বলেও জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা।

বীর্য পাতলা ও যৌন শক্তি কম হলে করণীয়:

বীর্য পাতলা ও যৌন শক্তি কম হলে করণীয়:

 


ডাঃ রোকসানা ইয়াসমিন রোকেয়া 

ধুমপান বন্ধ করুন। ধূমপায়ীদের শুক্রাণু সংখ্যা অধূমপায়ীদের চেয়ে ২২% কম হয় । টাইট আণ্ডার ওয়্যার বা প্যান্ট ব্যবহার করবেন না ।ঢিলা জিনিস ব্যবহার করুন । এলকোহল খাওয়া বাদ দিন। এলকোহল বা মদ খেলে শরীরে Estrogen(নারী হরমোন) লেভেল বেড়ে যায়।প্রচুর পরিমানে পানি পান করুন। টুনা মাছ, মুরগি, লাল মাংস, কচি ছাগল বা ভেড়ার মাংস খান । এতে প্রচুর এমিনো এসিড থাকে যা testosterone(পুরুষ হরমোন) লেভেল বাড়িয়ে দেয় । বাদাম খান প্রতিদিন । বাদামে জিঙ্ক এবং এমিনো এসিড থাকে প্রচুর পরিমানে।গমের আটা এবং বার্লি জিঙ্ক সরবরাহ করে।জিঙ্ক বীর্য উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে । প্রচুর ঢেঁড়স এবং ব্রকলি খান । খুব কাজে দেয় । টমেটো, তরমুজ, পেয়ারা, লাল মরিচ এবং বাতাবি লেবু(জাম্বুরা) প্রচুর পরিমানে খান । এতে লাইকোপিন নামের এনজাইম থাকে যা বীর্যের পরিমান এবং ঘনত্ব বৃদ্ধি করে।নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খেলে এমনিতেই পুরুষের বীর্য ঘন হয়ে থাকে। যেমন প্রতিদিন দুধ ও ডিম খাবেন।প্রতিদিন নিয়ম করে কয়েক কোয়া কাঁচা রসুন খেলে ভালো ফল পাবেন। রাতে শুবার সময় ইসুপগুলের ভুসি পানি দিয়ে খাবেন।মধু ও খেজুর খেতে পারেন।


 জটিলতা:একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে- যে সব পুরুষের বীর্যের ঘনত্ব কমছে ও নারীদের সাদা স্রাবের সমস্যা আছে, তাঁদের ডায়াবেটিস, অস্টিওপোরেসিস, হাড় ভেঙে যাওয়ার মতো রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এছাড়া পাতলা বীর্য বন্ধ্যাত্বের সম্ভবনা বাড়িয়ে দেয়।

মাথা ব্যথা, কমর ব্যথা, হাটু ব্যথা, পেট ব্যথা হয়।দৃষ্টি শক্তি কমে যায়, চুল পড়ে যায়। 


প্রকৃত শক্তিশালী পুরুষ নারী হতে চাইলে, রোগ মুক্ত জীবন চাইলে হস্তমৈথুন ছেড়ে দেন। আল্লাহ কে ভয় করুন।শয়তানে পাল্লায় যারা এমন করছেন, এই পথ হতে ফিরে আশার উপায়, হস্তমৈথুন বন্ধ রাখুন।।

আর হস্তমৈথুনের ঘাটতি পূরন, শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি, যৌন স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য, বীর্য ঘন করার জন্য, বীর্যে শুক্রানো বৃদ্ধির জন্য, লিঙ্গ শক্ত ও মজবুত করার জন্য, দ্রুত বীর্যপাত রোধ করার জন্য, সপ্নদোষের ঘাটতি পূরনের জন্য ঘরোয়া উপায়ঃ-প্রতিদিন সকাল ও বিকালে ৫-৭ টি করে যে কোন খেজুর ও কিসমিস খান।সম্ভব হলে দৈনিক ১ টি সিদ্ধ ডিম খান। বা ৭ দিনে ২/৩ টি ডিম খান।দৈনিক ১/২ টি যে কোন পাকা কলা খান।১-২ চামিচ করে খাঁটি মধু খান। ১/২ মোট বুট ভেজানো ছোলা বুট খেতে পারেন।।


 সম্ভব হলে প্রতিদিন ১ গ্লাস দুধ বা সপ্তাহে ১-২ গ্লাস দুধ খান।ছাগলের দুধ হলে বেশী উপকার পাবেন। প্রতিদিন ২/৩ খোয়া কাচাঁ রসুন খান।(সাথে প্রচুর পরিমাণ পানি, শাক সবজি, আঁশযুক্ত ফল ওমধু,দুধ, আপেল, চেরি, বাধাঁকপি,রসুন, ডিম, কলা,,কাঠবাদাম টক ফল মালটা কমলা, জাম্বুড়া,, পালংশাক, আঙুর, ডালিম. মাংস,দেশে মুরগীর মাংস,বিট. ব্রকোলি ইত্যাদি খাবার গুলোও খাবেন


  অন্তত ৩-৬ মাস চালু রাখতে হবে। যাদের সমস্যা বেশি তারা ১ বছর প্লাস খাবেন নিচের উপদেশ গুলো মেনে। সাথে খেতে হবে মেডিসিন, মেডিসিন লাগলে সমস্যার কথা বলে মেসেন্জারে একটি মেসেস করলে ইনশাআল্লাহ মেডিসিন লেখে দিবো।


খুব ভালো করে উপদেশ গুলো মেনে চলার চেষ্টা করুন। কেননা আপনার ভবিষ্যৎ আছে, সংসার আছে, আছে আত্মমর্যাদা।। তাই নিজেকে ও নিজের চরিত্রকে সংশোধন ও নিয়ন্ত্রণ রাখা জরুরি।। নিচের বিষয় গুলো কঠোর ভাবে মেনে চলুনঃ- পর্নোগ্রাফি দেখা, হস্তমৈথুন করা বর্জন করুন। এটা বাধ্যতামূলক।বিচানা/ কোল বালিশের সাথে ঘষাঘষি বন্ধ করুন। দৈনিক ১২/১৪ গ্লাস পানি পান করুন। সৃষ্টিকর্তার কথা স্মরণ করুন।নিজ ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলুন। খারাপ কাজে ধাবিত করে এমন বন্ধু পরিহার করুন। সৃষ্টি কর্তার কাছে সাহায্য চান। ধর্মীয় বই পড়েন দৈনিক ৩০-৪০ মি হাঁটুন।। সিজেনাল ফলমূল ও সবুজ শাকসবজি বেশি করে খান। সর্বদা পজেটিভ চিন্তা করুন।


মুএ জনিত সমস্যা,ঘন ঘন প্রস্রাব, কিডিনিতে পাথর, কিডনির সমস্যা,হজম শক্তিকম, পাইলস,আলচার, আমাশয়, ডায়াবেটিস হলে চিকিৎসা করুন আগে।


ডায়াবেটিসে : ডায়াবেটিস রোগের প্রকোপ দিনকে দিন বেড়েই চলছে। এই রোগে কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ বেশি খাওয়া চলবে না। যেমন বীট, আলু, মিষ্টিআলু বা রাঙাআলু, ওল, কচু, খামালু ইত্যাদি।

তবে তেলকুচা, করলা, মেথি শাক, কচি নিমপাতা, হেলেঞ্চা শাক এ রোগের মহৌষধ। ডায়াবেটিস রোগে সাদা বেগুন দারুণ উপকারী। এছাড়া কলার থোড়, মোচা, ঢেঁরস, ডুমুর, পালং শাক ইত্যাদিও উপকারী। কাঁচা রসুন রক্তে সুগারের পরিমাণ কমিয়ে আনতে সক্ষম।


রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে :পটাশিয়ামের রয়েছে রক্তচাপ কমানো বা নিয়ন্ত্রণের বিশেষ ক্ষমতা। তাই উচ্চ রক্তচাপ থাকলে পটাশিয়াম সমৃদ্ধ শাকসবজি যেমন আলু, কচু, ঢেঁরস, ঝিঙে, বীট, গাজর, মিষ্টিআলু বা রাঙাআলু, মটরশুঁটি, পালং শাক, বাঁধাকপি, নটেশাক ইত্যাদি নিয়মিত আহারের তালিকায় রাখুন। এছাড়া সজনে পাতা সেদ্ধ ভাতের সাথে খেলে দারুণ উপকার পাওয়া যায়। কাঁচা রসুনেরও উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে আনার ক্ষমতা রয়েছে। তাই নিয়মিত এক কোয়া করে কাঁচা রসুন ভাতের সাথে খেলে উপকার পাবেন।


চোখের সমস্যায় : ভিটামিন এ চোখের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চোখের রেটিনা ও রড গঠনের জন্য এই ভিটামিন খুবই প্রয়োজন। ভিটামিন এ-এর অভাব থাকলে দৃষ্টিশক্তি হ্রাস ও রাতকানা রোগ হয়। চোখের সমস্যা প্রতিরোধে শিশুদের প্রথম থেকেই ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ানো উচিত। গাজর, বাঁধাকপি, লেটুস, পালং শাক, টমেটো, নটে শাক, মেথি শাক, সরষে শাক, লাল শাক, সজনে ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে। এছাড়া দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোর জন্য বথুয়া এবং গিমা শাক দারুণ উপকারী।


অ্যাসিডিটির সমস্যায় : অ্যাসিডিটির সমস্যা এখন প্রতিটি ঘরে ঘরে। এর অন্যতম কারণ হলো নিয়ম না মেনে খাওয়া-দাওয়া করা এবং খাবার ঠিকমতো হজম না হওয়া। প্রতিদিনের আহারে কয়েকটি সবজি রাখলে অ্যাসিডিটির সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে। কলার থোড় খেলে হজম শক্তি বাড়বে। গিমা শাক, পুদিনা, চিচিঙা, পটল, কাঁকরোল ইত্যাদি সবজি খেলে অ্যাসিডিটি ও গ্যাসের প্রকোপ কমবে। অ্যাসিডিটি ও গ্যাসজনিত পেট ফাঁপায় সরষে শাক ও থানকুনি শাক বেশ কার্যকরী।


চর্মরোগে : চর্মরোগ হলো ত্বকসংক্রান্ত এমন এক সমস্যা যা নানান কারণে হতে পারে। তবে ত্বক পরিষ্কার ও রক্ত পরিশোধনের জন্য কিছু শাকসবজি বেশ উপকারে লাগে এবং চর্মরোগের আক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে। মেথি শাক, নুনিয়া শাক, নটে শাক, নিম পাতা, হেলেঞ্চা শাক, করলা, কাঁচা হলুদ ইত্যাদি খেলে চর্মরোগের বিরুদ্ধে দেহের ভেতরে একটা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে। খোসপাঁচড়া বা চুলকানি সারাতে নিমপাতা ভাজা, কাঁচা রসুন এবং হেলেঞ্চা শাক বেশ কার্যকরী


হার্ট_ভালো রাখতে যে খাবার গুলো খাবেন ঃ

খেজুর,ব্রকলি, গ্রীন টি, বেদানা,বেরি জাতীয় ফল,ডিম

পালংশাক, রসুন, ডার্ক চকলেট,আমলকি,হলুদ,লাল মরিচ,অলিভ অয়েল,শিম,কাঠবাদাম, হার্ট ভালো রাখে পুদিনা পাতা।


বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে শরীরে বিভিন্ন ব্যথা আঁকড়ে ধরে, তাই তিতা জাতিয় খাবার খান বেশীকরে,শরীরকে রাখুন বিষ মুক্ত। যেমন নিম পাতার রস, পাট শাক, সাজনশাক, কড়লা,লেবু, আমড়া, আমলকি, বরই কাচাঁ আম জাম্বুরা,কামরাঙা ইত্যাদি।ভিটামিন ঔষধকে না বলুন, ফলমুল শাক সবজি কে হ্যাঁ বলুন।


 শ্বাস কষ্টের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে আদা যুক্ত চা, তাই আদা যুক্ত চা খাবেন।নিউমোনিয়া ভুগছেন বেশী বেশী কমলা খাবেন।কিডনিরপাথর দুরকরতে বেশী বেশীপাকাআম খাবেন।রুক্ষ ও শুষ্ক চুল নিয়মিত শশা খাবেন।জন্ডিসে ভুগছেন? নিয়মিত ডালিম খাবেন।


মুএ জনিত সমস্যা বেশী বেশী মিষ্টি কুমড়া খাবেন।

পাইলসের সমস্যা, নিয়মিত পাকা পেঁপে খাবেন।

ডায়াবেটিস চিরতরে দুর করতে নিয়মিত আ্যালোবেরার রস পান করুন। হাড় ক্ষয় জনিত সমস্যা, বেশী বেশী আঙ্গুর খাবেন।মুখের দুর্গন্ধ দুর করতে, বেশী বেশী কাঁচা পেয়ারা খাবেন।কৃমি জনিত সমস্যা, আনারস খাবেন।ডায়াবেটিসের সমস্যা, কালো জাম খাবেন। 

শ্বাস প্রশ্বাস জনিত সমস্যা পেয়াজ খাবেন।

হরমন জনিত সমস্যা, নিয়মিত পাকা পেয়ারা খাবেন।আলোকিত হওন,আলো ছড়ান ।